Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী-বরগুনা সদর) আসনে নাম লেখাতেই ছয় এমপি প্রার্থীসহ সাতজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ছয় প্রার্থীর কেউ ভোট প্রাপ্তিতে তিন অংকের ঘর পারাতে পারেনি। তাদের এমন ভোট প্রাপ্তিতে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে হাস্যস্কারে পরিনত হয়েছে। তবে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমানেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার প্রাপ্ত ভোট আঠারো হাজার ৭’শ ৫৪।
জানাগেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী-বরগুনা সদর) আসন থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু, গোলাম সরোয়ার ফোরকান,খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মোঃ খলিলুর রহমান, এনপিপি পার্টির মাহবুবুর রহমান, বিএনএম পার্টির মাসুদ কামাল, তৃণমুল বিএনপির ইউনুস সোহাগ, তরিকত ফেডারেশনের শাহ মোঃ আবুল কামাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মাহবুবুর রহমান, মাসুদ কামাল, ইউনুস সোহাগ ও শাহ মোঃ আবুল কামাল নাম সর্বস্ব দলের মনোনয়ন নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নাম লেখাতেই এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। ছয় প্রার্থীর কেউ ভোট প্রাপ্তিতে তিন অংকের ঘর পারাতে পারেনি। তাদের এমন ভোট প্রাপ্তিতে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে তারা হাস্যস্কারে পরিনত হয়েছে।
তবে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুুর রহমান ভোট প্রাপ্তিতে পাঁচ অংকের ঘর পেরিয়ে গেলেও তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান ট্রাক প্রতিক ১৮ হাজার ৭’শ ৫৪, নুরুল ইসলাম কেতলি প্রতিক ৯’শ ৯৬ , এনপিপি প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ১৭৩, তৃণমুল বিএনপির ইউনুস সোহাগ ২৮৮, জাতীয় পার্টির খলিলুল রহমান ৩৪৪, বিএনএম পার্টির মাসুদ কামাল ৬৬ ও তরিকত ফেডারেশন পার্টির শাহ আবুল কালাম ৪২০ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ধারা মতে সাত প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. গোলাম মোস্তফা বলেন, বেশ কয়েকজন প্রার্থী নাম সর্বস্ব দলের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এরা সকলেই ভোট প্রাপ্তিতে তিন অংকের ঘর পার করতে পারেনি। তারা প্রার্থী হয়ে অকারনে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেলিম রেজা বলেন, কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসেবে সাতজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।