Advertisement
ছবি : বাংলাদেশ প্রকাশ |
▪️মাসে চাঁদা আদায় হয় কোটি টাকা
▪️প্রসাশনের নেই তৎপরতা
আলী রেজা রাজু, ঢাকা-:
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুরে সার্ভিস লেনে রাজধানী পরিবহনসহ কয়েকটি পরিবহনের বাসসহ ও প্রাইভেটকার,লেগুনা পাকিং করে রাখা হয়। হেমায়েতপুর,পদ্মার মোড়,যমুনা এলাকায় জনসাধারণের চলাচলার রাস্তা ফুটপাত ও মহাসড়ক দখল করে কয়েক হাজার দোকান (কাঁচাবাজার) বসিয়ে দোকানপ্রতি দিন ৩০০/৪০০ টাকা।
মহাসড়কে সিএনজি স্ট্যান্ড (পাকিং) বসিয়ে সিএনজি প্রতি ৫০/১০০ টাকা। মহাসড়কে পিক-আপ স্ট্যান্ড (পাকিং) বসিয়ে পিক-আপ প্রতি দিন ২০০/৩০০ টাকা।হেমায়েতপুর ফুট্রওভার ব্রিজ সংলগ্ন অটোরিকশা, ইজিবাইক থামিয়ে চাঁদা অটোরিকশাপ্রতি ৩০ টাকা ইজিবাইক প্রতি দিন ৫০ টাকা। দিন হাজার ৫ পাঁচেক অটোরিকশা ইজিবাইক চলাচল করে এ রাস্তায়।
মহাসড়কে প্রাইভেট কার পাকিং মাসিক ১হাজার টাকা। হেমায়েতপুর পদ্মার মোড়ে ট্রাক,পিক-আপ প্রতি ৫০/- টাকা হেমায়েতপুর থেকে চারাবাগ অবৈধ লেগুনা চলাচল করে , লেগুনা প্রতি দিন ২৫০/৪০০ টাকা। এ হিসাবে মাসে কয়েক কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়ে থাকে। মহাসড়কে চলে ফিটনেস বিহীন বাস।
সরাসরি আ.লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতা কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুলিশের সাথে সখ্য গড়ে তুলে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান নেমে দেখা যায় নাম প্রকাশে অচ্ছুক কিছু ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানায় কি করব দিনে কতটাকা চাঁদা দিতে হয় ৪০০/৫০০শ টাকা আবার এককালীন ৫/১০ হাজার টাকা এডভ্যান্স দিতে হয় আমাদের লচ দিয়ে ব্যবসা করতে হয় কত টাকা চাঁদা দিতে হয় জানতে চায়লে দিন ৪০০/৫০০শ টাকা ইজিবাইক, অটোরিকশা চালকরাও তাদের দিনপ্রতি ৩০/৫০ দিতে হয় বলে জানায় মহাসড়ক, ফুটপাত দখল স্থাপনা। গড়ে তোলার কারণে জনসাধারণের চলাচলের বিঘ্ন ঘটে। অনিয়ন্ত্রিত লেগুনা, অটোরিকশা ইজিবাইক, রাস্তায় যানজটের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
জনসাধারণের সাথে কথা বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে জানায় আমাদের চলাচলার অনেক ভোগান্তি সৃষ্টি হয় সরকার তো আমাদের জনসাধারণের চলাচলের জন্য করেছে ফুটপাত, রাস্তা করেছে, রাস্তায় সৃষ্টি হয় কৃত্রিম যানজট, দোকানের জন্য আমাদের দুর্ভোগ পোহানো লাগে কেউ দেখার নাই আপনাদের মাধ্যমে যদি কিছু হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ মো: আব্দুল্লাহিল কাফি(ক্রাইম এন্ড অপস্ ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) সবুজ বাংলাদেশকে বলেন আমরা ইতিমধ্যে সাভারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি পর্যায়ক্রমে হেমায়েতপুরে ও উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।