Advertisement
✏ জহিরুল ইসলাম,যশোর সংবাদদাতা
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী—পানিসারা—হাড়িয়া অঞ্চলকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন যশোর—২ (চৌগাছা—ঝিকরগাছা) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ তৌহিদুজ্জামান তুহিন।
শুক্রবার বিকেলে ফুল উৎসবের তৃতীয় দিনে কৃষক সমাবেশ ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, এই অঞ্চলের অন্তত এক লক্ষ মানুষ ফুল উৎপাদন ও বিপণন কাজে জড়িত। কৃষকদের আরো বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষে উদ্যোগী হতে হবে। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ও দেশের বাইরে থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। আপনারা তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবেন, তাদের ভালবাসা দিবেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমি সর্বাত্মক কাজ করবো। এসময় তিনি গদখালী থেকে ফুলমোড়ে যাতায়াতের রাস্তা প্রশস্তকরণ, ফুল পরিবহনে ট্রেনে এসি বগি সংযোজনের জন্য কাজ করবেন বলে জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সেলিম রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুবনা তাক্ষী, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে.এম মামুনুর রশীদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ, ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া।
কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এই অঞ্চলের ফুল চাষের জনক শের আলী সরদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল।
অনুষ্ঠানে ফুল চাষ, বিপণন ও কৃষি ইকোট্যুরিজমে অবদানের জন্য ১৪জনকে সম্মাননা দেয়া হয়।। তারা হলেন এই অঞ্চলে ফুল চাষের জনক শের আলী সরদার, বিশেষ অবদানের জন্য আবুর রহিম, ফুলচাষী ইসমাইল হোসেন, শাহানারা বেগম, লিয়াকত আলী, সাইফুল ইসলাম, শাহালাম, সেলিম রেজা, রাবেয়া খাতুন। কৃষি ইকোট্যুরিজমে সম্মাননা দেয়া হয়, শাহাজান আলী ও পলাশ মাহমুদকে।
এদিকে ফুল উৎসবের তৃতীয় দিনে এই এলাকায় প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষ ও যানবাহনের চাপে রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল জানান, গত ৩১ জানুয়ারি গদখালী—পানিসারা—হাড়িয়া ফুলমোড়ে দ্বিতীয়বারের মতো চার দিনব্যাপী ফুলমেলার আয়োজন করে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠান ঘিরে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটেছে। আগামীকাল (আজ) ৩ ফেব্রুয়ারি সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফুল উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।