lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-11T09:01:00Z
আইন ও অপরাধ

নরসিংদীর পৌরসভার টিনের বেড়া দিয়ে প্রতিবেশীদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ - BD Prokash

Advertisement


হাজী জাহিদ, নরসিংদী পলাশ:


নরসিংদী পৌরসভার চৌয়ালার  ভুক্তভোগী পরিবার এ ব্যাপারে স্থানীয় মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। ফলে গত এক বছর ধরে পাশের সরু পথ দিয়ে কোনোরকম চলাচল করে আসছে ওই তিন পরিবার।



সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি পরিবারের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা টিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার নরসিংদী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১/মোঃ কাশেম (৪৮) পিতা মৃ'ত হযরত আলী,২/ বেবী (৩০) স্বামী মোঃ কাশেম, রাজীব‌ পিতা মোঃ কাশেম।



এলাকার প্রভাবশালী শিল্পপতির ক্ষমতার জোরে হাশেম ও তার আরো দুই ভাইয়ের চলাচলের রাস্তা টিনের বেড়া ও খুঁটি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে,গত ১৩/০১/২৩ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকার সময় চলার মেইনরোড হইতে বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। 



রাস্তা বন্ধের বিষয়ে কাশেম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন প্রতিবাদ করলে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিরা লাঠি সোটা নিয়ে তার উপরে হামলার চেষ্টা চালায়, মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়, হাশেম মিয়া ও তার ভাইদের বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। 



জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য কৌশলে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে আসছে হাশেম মিয়াকে। ২৯/০৫/ ২০২০ সালে হাশেম মিয়াকে এলাকার প্রভাবশালী শিল্পপতির হুকুমে ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল তার বাড়ির সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়, একটি নীরব স্থানে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে তাকে বেদর মারপিট করে এবং তার হাত পা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য চাকু চাপাটি দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে।



ঘন্টা দুয়েক অমানুষিক নির্যাতনের পর হাশেম মিয়াকে তার বাড়ির পাশের একটি চিপা রাস্তায় ফেলে যায়। এলাকার লোকজন হাশেম মিয়াকে দেখতে পেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে,পরিবারের লোক জন্য সদর হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। 



পরবর্তী সময় হাশেম মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি অপহরণ হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ২৯/০৫/২০২০। প্রকৌশলের শিল্পপতি তাকে আর কোনরকম ক্ষতি করবে না ও তার বাড়ি ছাড়তে কোন রকম জোরপূর্বক হয়রানি করবে না বলে এই মর্মে অঙ্গীকার করে হাসেম মিয়ার কাছ থেকে আপোসনামা নিয়ে মামলাটি তুলে নেন।



 মামলা তোলার কিছুদিন পর থেকেই আবারো একই কায়দায় তার উপরে নানান ভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। পরবর্তীতে নরসিংদী পৌরসভা, স্থানীয় কাউন্সিলর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে একাধিকবার বিচার দিলেও শিল্পপতি সুকৌশলে তাদেরকে বিচারে না আসার জন্য নিষেধ করে। 



অভিযোগ বিষয়ে আবুল কাশেম মিয়ার পুত্র রাজিবের সাথে মুঠো ফোনে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান তিনারা দিনের বেলা দেন নি এটি দিয়েছে পাশের জমি ওয়ালা, আর জমি বাগবাটোয়ারা না  হওয়ায়, আমরা এখন রাস্তা দিতে পারতেছি না। 



এ বিষয়ে পৌর মেয়র আমজাত হোসেন বাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমার কাছে হাসেম নামের এক ব্যক্তি এসে ছিল। ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুব আলম জানান চৌয়ালা আমার এলাকা কিন্তু এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ আসেননি। 



সাবেক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন জানান বিষয়টি নিয়ে হাসেম মিয়া তার কাছে এসেছিল কয়েকদিনের মধ্যে এলাকার লোকজন নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।



অভিযোগ তদন্তে থাকা এস আই কামরুজ্জামান জানান জমিটি নিয়ে উভয় পক্ষের অভিযোগ বিদ্যমান এটি ফৌজদারী আদালতের বিষয় তবুও আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি যাতে অভিযোগকারী ন্যায়বিচার পায় ওসি সাহেবের  কাছে তদন্ত রিপোর্ট রয়েছে আরো জানতে উনার সাথে কথা বলুন। বিষয়টি নিয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর রহমানের মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় উনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।