Advertisement
আছমা আক্তার আখি পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় বোদা থানায় মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে বোদা থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ২ টি মামলায় মোট ৫ টি গরু উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হকিকুল ইসলাম (৫৮), পিতা- সামির উদ্দিন, গ্রাম ডাবরভাঙ্গা ছাতনাইপাড়া, থানা- বোদা, জেলা-পঞ্চগড় থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যে, গত ১৪/০২/২০২৪ খ্রি. গোয়ালে গরু রেখে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে উক্ত তারিখে রাত১০ টা থেকে আনুমানিক সকাল ৫.টা ৩০ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা চোর /চোরেরা গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ভুক্তভোগীর ২টি গাই ও ১টি বাছুর গরু চুরি করে নিয়ে যায়।
বাদীর এরূপ লিখিত এজাহার পেয়ে পঞ্চগড় বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক এর নির্দেশে থানার মামলা নং- ১০, তারিখ-১৫ ই ফেব্রুয়ারী মামলা দায়ের করেন যাহার ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু করিলে এসআই (নি:)/ মো: বদিউজ্জামান, এস আই/ আব্দুস সালাম, এস আই/আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গীয় কং /২৬১ মো: কামরুজ্জামান, কং/ ৫৫৭ মো: শহিদুল ইসলাম, কং/২৪৭ মো: জাহিদুল ইসলাম, কং/১০৯ ফজলে রাব্বী পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে পঞ্চগড় জেলার সদর থানাধীন ধাক্কামারা ইউপির খোলাপাড়া গ্রামস্থ ফাঁকা মাঠে ৩ টি গরুই ১৬/০২/২৪ রাত্রি আনুমানিক ১০ টা ৩০ মিনিটে উদ্ধার করেন।
এবং অপর ঘটনাটির ভুক্তভোগী মো: বছির উদ্দিন থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, গত ১১/০২/২০২৪ খ্রি রাতের বেলা গোয়ালে গরু রেখে ঘুমিয়ে পড়লে অজ্ঞাতনামা চোর /চোরেরা গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ভুক্তভোগীর ১টি গাই ও ১টি বাছুর গরু চুরি করে নিয়ে যায়। বাদীর এরূপ লিখিত এজাহার পেয়ে বোদা থানার অফিসার, ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক মামলা রুজু করেন এবং বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক, ও আবু মুসা সরকার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও নেতৃত্বে এস আই ( নি:)/ মো: বদিউজ্জামান, এস আই / আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, কং/৫৫৭ শহিদুল ইসলাম, কং/১৭ রাফি মিয়া পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে তথ্য-প্রযুক্তি ও সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে পঞ্চগড় জেলার সদর থানাধীন ধাক্কামারা ইউপির নহুলিয়াপাড়া গ্রামের তদন্তে প্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর গোয়াল ঘর থেকে বাদীর চুরি যাওয়া ২ টি গরুই ১৬/০২/২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাতে উদ্ধার করেন।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক আবুল কালাম কৌশলে পালিয়ে যায়। অজ্ঞাত চোরদের শনাক্ত ও গ্রেফতারী অভিযান অব্যাহত আছে।
