Advertisement
✏ জহিরুল ইসলাম যশোর সংবাদদাতা :
যশোর জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য ফুলের চাষকে সম্প্রসারণ ও বিপণনের স্লোগানকে সামনে রেখে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী-পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে ফুল উৎসব সমাপ্ত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
তিনি বলেন, ফুল হলো যশোর জেলার ব্র্যান্ডিং। তাই ফুলচাষকে সম্প্রসারণ ও বিপণন বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে। তিনি প্রতিবছর ফুল উৎসব করার বিষয়ে প্রশাসনকে তাগিদ দেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) ছিলো চার দিনের ফুল উৎসবের শেষদিন। ফুল উৎসবের সমাপনী দিনে ছিলো শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম. শাহীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট কমলেশ মজুমদার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম মামুনুর রশীদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদের সিএটু এমদাদুল হক এমদাদ।
সমাপনী দিনটিতেও মানুষের ঢল নামে ফুল উৎসব এলাকায়। বিশেষ করে গদখালী রেল স্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে পানিসারায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণন কেন্দ্র পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। ফুল উৎসব উপলক্ষে ফুল ক্ষেতগুলোকে দৃষ্টিনন্দন ও পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে অবস্থিত রেস্টুরেন্টগুলোকেও ফুল ক্ষেতের আদলে রূপ দেয়া স্থানগুলোতেও দর্শনার্থীতে ঠাঁসা ছিল।
ফুলের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফুল রাজ্যকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বুধবার দ্বিতীয় বারের মতো এ ফুল উৎসব উদ্বোধন হয়। উৎসবে ফুল উৎপাদক, ফুল ব্যবসায়ী, ফুল সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো অংশ গ্রহণ করে।
ঝিকরগাছা উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ফুলের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ফুলরাজ্যকে সবার সামনে তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়। আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি, প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই উৎসব করার চিন্তাভাবনা করবে উপজেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ঝিকরগাছার গদখালী অঞ্চলে ১২০০ হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এ এলাকার ৬ হাজার পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এ অঞ্চলে প্রতি বছর সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়।