lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-03T06:47:09Z
জাতীয়

ফুলের পাঁপড়িতে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর মুখ - মুগ্ধ দর্শক - BD Prokash

Advertisement


জহিরুল ইসলাম যশোর সংবাদদাতা 


ফ্রেমে বাঁধাই করা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি দেখলে মনে হবে রং—তুলিতে  আঁকা সুনিপুণ চিত্রকর্ম। কিন্তু কাছে গেলেই বুঝতে পারবেন গোলাপ ফুলের পাপড়ির সম্মিলনে ফুটে উঠেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটি। গোলাপ ফুলের পাপড়িতে তৈরি বঙ্গবন্ধুর এমন একটি চিত্রকর্ম দেখা গেছে ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালির ফুল উৎসবে। হাড়িয়া- পানিসারা ফুল মোড়ে ঐতিহ্য বাহী ফুল উৎসবের একটি স্টলে দৃষ্টিনন্দন এমন কারুকার্য দেখতে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।



যশোর জেলার ঐতিহ্যবাহী পণ্য উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের একটি স্টল ঘুরে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ফুলের তৈরী প্রায় ৩০ রকমের পণ্যের সমাহার দেখা মিলেছে। সবগুলো পণ্যই ফুলের তৈরী, দেখতেও অসাধারণ। এর মধ্যে রয়েছে খেজুর পাতার কড়াই, খেজুর পাতার বালতি, খেজুর পাতার হাড়ি, গোলাপ ফুল দিয়ে তৈরী রোজ সাবান, ফুল দিয়ে তৈরী চুরি, কলম, চিরুনি, মোবাইল ব্যাকপয়াক, চাবির রিংসহ বিভিন্ন জিনিস।



সমবায় সমিতির সদস্য রাবেয়া খাতুন, খাদিজা খাতুন, জেসমিন নাহার, তহমিনা আক্তার, লাকিয়া খাতুন, খালেদা আক্তারসহ মোট ১৫ জন সদস্য ফুল দিয়ে এমন কারুকাজ করেছেন। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) নামের একটি সংস্থা।



সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের নারী ফুলচাষীসহ পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে এ সমবায় সমিতি। এ সমিতির নারীরা ফুল দিয়ে নানা আসবাপত্র এবং পণ্য তৈরি করে তা বিভিন্ন মেলা এবং প্রদর্শনীতে বিক্রি করে নিজেরা সাবলম্বী হচ্ছেন।



সমবায় সমিতির সদস্য রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ছবিটি সম্পূর্ণ গোলাপ ফুল দিয়ে তৈরি। ফুল শুকিয়ে এটিকে তৈরী করা হয়েছে। এতে সময় লেগেছে ২—৩ দিন। মেলায় অনেক দর্শনার্থী আসছে, তাদের বেশি নজর কাড়ছে এই বঙ্গবন্ধুর ছবিটি।



আরেক সদস্য খাদিজা খাতুন বলেন, ‘বেডস্ নামে একটি সংস্থা আমাদের প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর আমরা এই গদখালির নারী ফুলচাষীরা একত্রিত হয়ে একটি সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকেই আমরা বিভিন্ন ফুল দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করি। বাদ দেওয়া অনেক ফুল দিয়েও কারুকাজ করে পণ্য তৈরি করা হয়।’



রাজু হোসেন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ফুল দিয়ে এতো সুন্দর ছবি তৈরী করা যায় এটা না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। অনেক সুন্দর হাতের কাজ। এই হাতের কাজই এখানকার নারীদের অনেক উপরের দিকে নিয়ে যাবে।



তানহা নামে আর এক নার বলেন, প্রথমে ছবিটি দেখে মনে হয়েছে আর্ট করা, পরে শুনলাম এটি ফুলের তৈরী। শুধু ছবি নয়, চিরুনি, কলম, সবই ফুল দিয়ে তৈরী, সত্যি অসাধারণ হাতের কাজ।



বেডস্ এর মাঠ কর্মকর্তা মাহবুল রহমান খান বলেন, ‘আমরা এখানকার ফুলচাষী নারীদের এই ফুলের কারুকাজের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য তাদেরকে সাবলম্বী করা।