Advertisement
✏ বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলীতে সুখি (২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি শশুর বাড়ির লোকজনে হত্যা করেছে।
শুক্রবার(২ ফেব্রয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার চরপাড়া গ্রামের একটি ওয়াপদা রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুখি উপজেলার চরপাড়া এলাকার মো. হাসানের স্ত্রী।
জানা যায়,গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধার পরে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার শশুর বাড়িতে কাজ শেষে সুখি (২০) গৃহবধূ নিজ ঘরে চলে যায়। এরপর তার আর কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। সকালে পরিবারের লোকজন আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তার কোন সন্ধ্যান পায়নি। দুইদিন পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে নিহতের শশুর বাড়ির অদুরে ওয়াপদা রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১২ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতের শরীরে আঘাতের বেশ কয়েকটি চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
গৃহবধূরর বাবা বাবুল ফকির বলেন, আমাদের সন্দেহ আমার মেয়েকে শশুর বাড়ির লোক হত্যা করে মরদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছেন। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
গৃহবধূর স্বামী হাসান বলেন, আমার স্ত্রীর নিখোঁজের খবর শুনে আমি সাগরে মাছ ধরা রেখে এসছি। এসে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। কোথাও না পেয়ে আজ সকালে আমার স্ত্রীর লাশ দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। তিনি আরও বলেন আমাদের কোনো শত্রু নেই তবে কে বা কারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শহিদুল ইসলামা খান বলেন,খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশ যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে এই ঘটনা ঘটেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। তবে তদন্ত করে সঠিক রহস্য বের করা হবে। তিনি আরও বলেন ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পরে হত্যার সঠিক কারন বলা যাবে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।