lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-06T18:58:10Z
সারাদেশ

বাঘায় জাহানারা জামানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত - BD Prokash

Advertisement

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :


মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সহর্ধমিণী ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মা জাহানারা জামানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীর বাঘায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর  বাঘা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলুর উদ্দোগে উপজেলা জামে মসজিদে এবং বাদ আসর  বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীর উদ্দোগে পৌর জামে মসজিদে এ মিলাদ মাহফিল ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন স্ব- স্ব মসজিদের ইমাম যথাক্রমে সুলতান আলী ও মিনার হোসেন। এ সময়উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  অ্যাডঃ লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাঘা পৌর মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আক্কাস আলী, সাবেক ছাত্রনেতা সেলিম রেজা, সানোয়ার সুরুজ, জাতীয় পার্টির নেতা মৎস্য শিকারি দুলাল হোসেন, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পৌরসভায় কর্মরত সচিব, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, মসজিদের মুসল্লি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তারা স্মৃতিচারণ বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বরের পরবর্তী সময়ে জাতীয় নেতা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সহধর্মিণী  জাহানারা জামান অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে অসহায় অবস্থায় দুই ছেলে ও চার মেয়েকে শিক্ষা, দীক্ষায়, জ্ঞানে ও গরিমায় যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলে প্রতিষ্ঠিত করতে কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন। তবুও তিনি বিচলিত হননি। তারই ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং অন্যান্য সন্তান-সন্তুতিদের যোগ্য আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা মরহুমার বিধেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।



বক্তারা আরও বলেন, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের মৃত্যুর পর জাহানারা জামান সকল বিপত্তিকে মোকাবিলা করে তাঁর ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তিনি কখনও তাঁর ছেলে-মেয়েকে বাবার অনুপস্থিতি অনুভব করতে দেননি। তাঁর সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।



আমরা মরহুমার  বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং  তাঁর পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা ও সফলতা কামনা করি।



প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার)  রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার গুলশানের বাসায় জাহানারা জামান মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।