Advertisement
✏ আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী (প্রতিনিধি) :
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তপ্ত আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন। নৌকা প্রতীকের এমপি প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সাংসদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো.আব্দুর রহমান,তাঁর কর্মী ছিলেন হাবিব শেখ( ২১) অন্যদিকে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের এমপি প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ আরিফুর রহমান দোলন, তাঁর সমর্থক ছিলেন একই ইউনিয়নের শরিফুল মেম্বর।
নির্বাচনের সময় মতপার্থক্য ও দ্বন্দ্বের কারনে নিজেদের মধ্য রেশারেশির সৃষ্টি হয়, তাঁর পরিপেক্ষিতে রবিবার ৪ ফেব্রুয়ারী রাতে আলফাডাঙ্গা ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যাধর এলাকায় মন্টু মোল্যার বাড়ীর পাশে পাকা রাস্তার উপরে ওৎ পেতে থাকা শরিফুল মেম্বর অরফে শরফেজ এর নিজস্ব বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নৌকার কর্মী হাবিব শেখ (২১) উপর উপজেলার মহিষারগোপ বাজারে যাওয়ার পথে বর্বরোচিত হামলা করে। হামলায় হাবিব শেখ এর মাথায় কোপ ও একটি হাত ভেঙে গেছে নিশ্চিত করেছে তাঁর বাবা তাঁরা শেখ।
আশংকাজনকভাবে হাবিব শেখ কে উদ্বার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাবিব শেখ এর উপর হামলার ঘটনায় ৪ ফেব্রুয়ারী রবিবার রাতে থানায় হাবিবের পিতা তাঁরা শেখ বাদী হয়ে অভিযোগ করলে মামলা রুজু হয়। মামলা নং ০৩ জিআর নং ১৫/২৪
আলফাডাঙ্গা ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন নির্বাচনের দ্বন্দ্বের কারনে হাবিব শেখ এর উপর বর্বরোচিত হামলা হয়েছে, সে নৌকার একনিষ্ঠ কর্মী ছিল,আমি শরিফুল মেম্বার গং এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন,আমি ঘটনার সময় নড়াইলে ছিলাম। তবে গ্রামে দল চালাতে হলে যে কেহই দলের নেতৃত্ব দিতে হয়। তাই আমি দলের নেতৃত্ব দেই, আমার দলের লোক মেরেছে। এটা রাজনৈতিক হামলা হয়নি।
তবে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ওসি চার্জ অফিসার শামিনুল হক বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।