Advertisement
মোঃ আরিফুল ইসলাম শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
"পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি"। পরিশ্রম ব্যতিত কোন কিছুরই ফললাভ হয়না। পরিশ্রম আর মেধা এই দু'য়ের সমন্বয়ে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে কিভাবে একজন সফল মুরগি খামারী হওয়া যায়, ঝিনাইগাতীর সালেহ আহাম্মেদ তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। কেননা এক সময়ে সে ধান চালের ব্যবসা করতেন। ঐ ব্যবসায় তেমন সফলতা না আসায় পেশা বদলের চিন্তা করেন। যেই চিন্তা, সেই কাজ। অবশেষে ২০০৫ সালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের নুনখোলা গ্রামে ৪ লাখ টাকা দিয়ে ১ হাজার লিয়ার মুরগি দিয়ে জুনাইদ অ্যাগ্রো ফার্ম নামে খামারটির পথ চলা শুরু। এর পর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ২০ হাজার মুরগি। যেখান থেকে প্রতিদিন ডিম আসে ১৫ হাজার।
ইতিমধ্যেই ১০ হাজার পোলেড মুরগির খামার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আছে মাছের দুটি পুকুর। যেখানে চাষ হচ্চে নানা জাতের মাছ। তার খামারে বর্তমানে ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে চাকিরি করছে ১৫ জন শ্রমিক। সব খরচ বাদে তার প্রতি মাসে আয় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
এ ব্যাপারে খামার মালিক সালেহ আহাম্মেদ জানান, তার এই সফলতার গল্প অনেক দীর্ঘ। এ পর্যন্ত আসতে তাকে অনেক চড়াই উৎড়াই পথ পার হয়ে আসতে হয়েছে। এর জন্যে তাকে করতে হয়েছে অনেক পরিশ্রম। সব মিলিয়ে তিনি আজ সফল একজন খামারী।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ.টি.এম ফয়জুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন,খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। সালেহ আহাম্মেদ খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে তাকে নানা রকম পরামর্শ সহ সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এভাবে কেউ খামার করার উদ্যোগ নিলে তাকেও দেয়া হবে সহযোগীতা বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এলাকাবাসী বলছেন, সালেহ আহাম্মেদ খামার করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়া সহ এলাকার ১৫জন বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে উদ্দ্যোক্তার সংখ্যা বাড়লে একদিকে যেমন এলাকার উন্নয়ন হতো, অপরদিকে কমতো বেকারত্বের সংখ্যা এমনটাই মনে করছেন ঝিনাইগাতীবাসী।