lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-11T08:02:22Z
জাতীয়

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে জমে উঠেছে গদখালীর ফুলের বাজার - BD Prokash

Advertisement


জহিরুল ইসলাম যশোর প্রতিনিধি


ফুলের রাজধানী হিসেবে খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারী ফুলের বাজার। ১৪ই ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে জমজমাট গদখালীর পাইকারী ফুলের বাজার।  এখন চলছে ফুলের ভরা মৌসুম, সারা বছরই ফুল উৎপাদন ও বিক্রি হয়, তবে শীত মৌসুমে ফুল উৎপাদনও যেমন বেশি হয়, ফুল বিক্রিও তেমনি অনেক বেশি হয়, খুব সকালে এখানে ফুল বেচাকেনা শুরু হয়,  চাষির সাইকেলে,  ভ্যানে করে হরেক রকমের ফুল নিয়ে আসেন, ফুল চাষী ও ফুল ব্যবসায়ীদের পদচারণায় প্রতিদিন মুখরিত হয়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী ফুলের বাজার। দেশের চাহিদার ৭০ ভাগ ফুল সরবরাহ হয় এই গদখালী থেকে। 



১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সবচেয়ে গোলাপ ফুলের চাহিদা বেশি থাকে, ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গাধা ফুলের চাহিদা হয় আকাশচুম্বী,  পাশাপাশি  রজনী, ভুট্টা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসী, রড স্টিক, সহ সকল ফুলের চাহিদা থাকে।



রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে দেখা যায়, গদখালী বাজারে প্রকারভেদে প্রতি পিছ গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা থেকে ২৯ টাকা পর্যন্ত, দুই দিন আগে যা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা, চায়না গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত,  প্রকারভেদে প্রতি পিছ রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা থেকে ১৭ টাকা পর্যন্ত, প্রকারভেদে প্রতি পিছ জারবেরা বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত, প্রকারভেদে  প্রতি পিছ গ্লাডিওলাস ১৪ টাকা থেকে ২৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে, চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হচ্ছে ৪ টাকা থেকে ৬ টাকা, এক হাজার গাধা ফুল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। ফুলচাষী সুমন হোসেন বলেন  আমার ১ বিঘা জমিতে গোলাপের চাষ করেছি বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ বছর গোলাপের ফলন হয়নি।  আঃ মান্নান নামে অপর এক চাষি বলেন গোলাপের দাম ভালো একশো গোলাপ ২৮০০ টাকা বিক্রি করেছি। 



ফুল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফুলের দাম একটু বেশি, তিনি বলেন ২৯ টাকা পিছ গোলাপ কিনেছি, অন্য ফুলের দামও তুলনামূলক বেশি। ফুল ব্যবসায়ী সাইফ বলেন,  আমার বিশ বছর ব্যবসার বয়সে এতো বেশি গোলাপের দাম কখনও দেখিনি।  চাষিদের কথা বলে জানা যায় ফুলের দাম বেশি হওয়ার কারণ  ফুলে ছত্রাক জনিত রোগের আক্রমণ,  যার ফলে অনেক চাষির ফুলের বাগান নষ্ট হয়ে গিয়েছে,  ফুলের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেশি। 



যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় গদখালী ইউনিয়ন, নাভারণ ইউনিয়ন, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন ও পানিসারা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফুলের  চাষ  হয়, এর মধ্যে   টাওরা, সৈয়দপাড়া, পানিসারা, নিমতলা, হাড়িয়া, পটুয়া পাড়া  ও গদখালী অন্যতম।



যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির  সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ফুল চাষকে আরও বেগবান করতে  সকলের প্রতি আহবান জানান, তিনি আরও বলেন ফুল সারাবছরই বিক্রি হয়, তবে কিছু উৎসব কেন্দ্র করে বেচাকেনা বেশি হয়। আমরা আশা করছি  বিশ্ব ভালবাসা দিবস, সরস্বতী পূজা ও বসন্ত বরণ উৎসবে ৩০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। এবছর রোগের আক্রমণ বেশি যার কোন প্রতিকার মিলছে না, যার ফলশ্রুতিতে ফুলের ধরন কম হওয়ায় দাম বেশি। 



১৯৮২ সালে শের আলী সরদারের হাত ধরে প্রথম গদখালীতে ফুলের বানিজ্যিক চাষ শুরু হয়, তিনি প্রথম ১ বিঘা জমিতে রজনীগন্ধা ফুলের চাষ করেন পানিসায়, যা আজ সারা বিশ্বে ফুলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত।