Advertisement
ইসমাইল হোসেন, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
৭০ বছর পার হয়ে গেলেও পোরশা উপজেলার ১৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো গড়ে ওঠেনি ভাষা শহীদ মিনার।প্রতিবছর বাংলাদেশের জনগণ মাতৃভাষা বাংলার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে থাকেন।পৃথিবীর এমন কোন দেশ নাই যেখানে জনগণ মাতৃভাষার জন্য রক্ত দিয়েছেন।এ তাৎপর্যকে তুলে ধরে ইউনেস্কো এ ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।১৯৫২ সালে এই বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করে সালাম বরকত সহ অনেক দামাল ছেলেরা ঢাকার রাজপথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জীবন দিয়েছেন। আর এরই প্রেক্ষিতে নির্মিত হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার।
এই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমরা প্রতিবছর আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে উদযাপন করে আসছি।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য পোরশা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে এসে জানা যায় মাত্র পাঁচটিতেই নির্মিত হয়েছে ভাষা শহীদ মিনার। বাকি ১৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই এই ভাষা শহীদ মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে প্রশ্নের জবাবে কিছুই বলতে পারেননি কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।
শহীদ মিনার না থাকায় এসব শিক্ষার্থীরা এই দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে বঞ্চিত হচ্ছে।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রস্তুতিমূলক সভায় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে প্রধান শিক্ষকদের অবকতা করা নির্দেশ দেন।দুটি কলেজে ও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শহীদ মিনার রয়েছে।বাকি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা মোট ১৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়নি শহীদ মিনার।
সূত্রে জানা যায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ছাত্র-ছাত্রীরা এ দিবসটি পালনই করেন না।ফলে পোরশা উপজেলার শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত নন। ভাষা শহীদেরা পাচ্ছেন না মর্যাদা।কেন নির্মাণ করা হয়নি এ ব্যাপারে কয়েকজন প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে অর্থাৎ অভাব ও জায়গা সংকুলান না হওয়ায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।