Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:-
ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন ও হাফেজ জিহাদ হোসেন শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে (২৫) পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ওই সময় তার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক। ঘটনা ঘটেছে আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় সোমবার ভোরেরাতে। আহত শিক্ষককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
জানাগেছে, আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের সোমবার ভোররাতে ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি। এতে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন (১৯) ও হাফেজ জিহাদ হোসেন (২০) ক্ষুব্ধ হয়। পরে তারা শিক্ষককে গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তার পকেটে থাকা ৭ হাটার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে শিক্ষক রাফির কান বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্থানীয় শিক্ষককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জায়েদ আলম ইরাম শিক্ষক রাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। এ ঘটনার পরপরই ছাত্ররা মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে। হাফেজ ইমাম হোসেনের বাড়ী উপজেলার হলদিয়ার রাওঘা গ্রামে। তার বাবার নাম মামুন মৃধা। অপর ছাত্র জিহাদ হোসেনের বাড়ী পটুয়াখালী উপজেলার আমখোলা গ্রামে। উল্লেখ এ দুই ছাত্র ওই মাদ্রাসা থেকে হাফিজি শেষ করে পুনরায় ষষ্ট (নাহবেমীর) শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছে।
আহত শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তিনি আরো বলেন, আমার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ওরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তি দাবী করছি।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারনে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে দুই ছাত্র গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জায়েদ আলম ইরাম বলেন, আহত শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।