lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-28T11:12:45Z
শিক্ষা

আমতলীর অদম্য কেয়ামনি'র উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সংশয়

Advertisement


 

বরগুনা প্রতিনিধি: 

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার এক অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর নাম কেয়ামনি। এ যেন ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো। আর্থিক অনটন অদম্য মেধাবী কেয়ামনিকে দমাতে পারেনি। দিনমজুর ভূমিহীন কৃষক বাবার উপার্জনের টাকায় সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরালেও লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন নিয়মিত। সফলতাও পেয়েছেন। শিক্ষাজীবনের সকল শাখায় রয়েছে জিপিএ-৫। বর্তমানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়ামনি। পিতা সাধারণ দিনমজুর কৃষক মোঃ নজরুল ইসলাম খোকন, মাতা গৃহিণী তাসলিমা বেগম। দুই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় বেশ মনযোগী। তার প্রমান পাওয়া যায় তার পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে। আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন রাওঘা গ্রামের ৪৪ নং দক্ষিন রাওঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে পিইসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ- ৫ পান, ২০১৬ সালে দক্ষিন রাওঘা নূর আল-আমীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি তে জিপিএ-৫, একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখা থেকে জিপিএ- ৫ এবং আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে থেকে এইচএসসি-২০২১ সালে জিপিএ- ৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন।

তার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন বিসিএস প্রশাসনিক ক্যাডার হওয়া। এতদিন দারিদ্রতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি কিন্তু এখন বেশ ভোগাচ্ছে। বর্তমানে কেয়ামনি বরিশাল বিএম কলেজে ইংরেজি বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের অধ্যায়ন করে আসলেও নানাবিত অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে তার উচ্চশিক্ষা প্রায় বন্ধের মুখে। মূলত পারিবারিক অস্বচ্ছল কারণেই নিয়মিত ক্লাস করতে পারছে না মেধাবী এই শিক্ষার্থী।

তার গৃহিণী মা বলেন, ছোট থেকেই লেখাপড়ার প্রতি মেয়ের প্রবল ইচ্ছা ও ঝোঁক বেশি থাকায় পিছপা হইনি। সাধ্যমত চেষ্টা করেছি মেয়ের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে। আমি এবং ওর বাবা অনেক কষ্ট-ক্লেশ করে এবং স্কুল স্যারদের সাহায্য সহযোগিতা করায় আমার মেয়েটাকে এতদূর পযর্ন্ত নিয়ে আসতে পেরেছি। এতদিন নিজ এলাকায় লেখাপড়ার সুযোগ থাকলেও উচ্চ শিক্ষায় সেই সুযোগ আর নেই। মেয়ে এখন বরিশাল বিএম কলেজে পড়ে। বরিশাল এর মত এত দূর শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ বহন করা আমাদের মত দরিদ্র পরিবারের পক্ষে আর সম্ভব নয়।