lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-04T11:19:19Z
আইন ও অপরাধ

যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় এসিড মেরে ঝলসে দেয়া ও তালাক দেয়ার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Advertisement


বরগুনা প্রতিনিধি:


তরমুজ চাষ করতে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্বামী আব্বাস খাঁন স্ত্রী পলাশী আক্তারকে এসিড মেরে ঝলসে দেয়া ও তালাক দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। রবিবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বামী আব্বাস খানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন স্ত্রী পলাশী বেগম। স্বামীর ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে তিনি জীবনের নিরাপত্তার দাবী জানান। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে। 



লিখিত বক্তব্যে পলাশী আক্তার বলেন,  উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহরাফ খাঁনের ছেলে আব্বাস খাঁনের মঙ্গে গত বছর মে মাসে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী আব্বাস আমার বাবার কাছে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন। জীবনের সুখের কথা চিন্তা করে বাবা তার চাহিদামত টাকা দেয়। ওই টাকা নিয়ে তিনি বিদেশ না গিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ঘুরে আসেন। তিন মাস পরে তিনি আবারো ব্যবসার কথা বলে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন। এ টাকা দিতে আমার বাবা অস্বীকার করেন। এরপর তিনি আমার ওপর অমানষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন সইতে না পেরে বাবা আবারো তাকে তিন লক্ষ টাকা দেয়। ওই টাকা নিয়ে তিনি লাপাত্তা হয়ে যায়। গত তিন মাস খোঁজ খবর ছিল না। গত একমাস পুর্বে তিনি তরমুজ চাষ করবে বলে আমার কাছে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন। আমার পরিবার এ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গত ১৪ জানুয়ারী আমাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আমার স্বজনরা এসে আমাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই হাসপাতালে আমি তিনদিন চিকিৎসা নিয়েছি। তার ভয়ে মামলা করতে সাহস পাইনি। টাকা না দিলে তিনি আমাকে এসিড মেরে ঝলসে দেয়া ও তালাক দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোন মুহুর্তে আমার স্বামী আমাকে এসিড মেরে ঝলসে দেয়াসহ নানাভবে হত্যা করতে পারে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা  চাই। 



এ বিষয়ে স্বামী আব্বাস খাঁনের মুঠোফোনে (০১৮৩৯৩০৮৪৩৯) বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।



আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।