lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-07T10:19:30Z
জাতীয়

পোরশার ৭০ বছরের মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে

Advertisement


 

ইসমাইল হোসেন, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

৭০ থেকে ৮০ বছরের পুরাতন পোরশা উপজেলার নিতপুরের মৃৎশিল্প আধুনিকতার ছোঁয়ায় যেন বিলপ্তির পথে।প্লাস্টিক, মেলামাইন, সিরামিক ও গ্লাসের আবিষ্কারের ফলে এই মাটির বাসন পত্র হারিয়ে যাওয়ার পথে। আগের মানুষেরা মাটির হাড়ি ,প্লেট, বদনা, কোলানি ও কলস ব্যবহার করতেন। এতে রোগবালাইও কম ছিল তাদের। এসব বাসন পত্র ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত বললেন এক এমবিবিএস ডাক্তার। তিনিও মাটির বাসনে খাবার খান বলে জানান।


তিনি আরো বলেন মাটির হাঁড়িতে তরকারি রানলে তরকারি সুস্বাদু হয়। বিভিন্ন শহরে দেখাও যায় মটকা বিরানি অথবা মটকার মধ্যে মাংস রান্না। এতে সুস্বাদু হওয়ায় খরিদ্দার সেখানে বেশি যায়।


কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য পোরশা উপজেলার নিতপুর পালপাড়া গ্রাম ঘুরে এসে দেখা যায়, চার থেকে পাঁচটা এই মৃৎশিল্পের শিল্প কারখানা ৭০ বছর ধরে তাদের পূর্বপুরুষদের এই শিল্প ধরে রেখেছেন তারা এখনও। তাদের অনেকেই ভারতে চলে গেছেন টিকে আছেন এই পাড়াতে ১৮ পরিবার নির্ভর করছেন শুধুমাত্র এই মৃৎশিল্পের উপরে। তাদের পণ্যগুলো তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন হাটে তারা বিক্রি করেন। তাদের বিক্রয়ের মূল্য দিয়ে তাদের সংসার এখন আর চলে না।


সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আনন্দ পাল জানান, আগের তুলনায় এর কিছুটা চাহিদা বাড়লেও বর্তমান বাজারে মাঠ থেকে মাটি কিনে নিয়ে এই মাটির পণ্যগুলি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে তাদের সংসার চালানো খুব কষ্টসাধ্য হচ্ছে। শ্রী উত্তম কুমার জানান সরকারি সহযোগিতা যদি পেতাম তাহলে এই মৃৎশিল টাকে আরো বৃদ্ধি করতাম।


আমাকে এই কাজের পাশাপাশি ইটের ভাটায় কাজ করতে হয় এতে যা ইনকাম হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়।এই মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখতে তারা সরকারের একান্ত সহযোগিতা কামনা করেন।


এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন"আমরা তাদের গরু দিয়েছি ঘাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি এবং তাদের মৃৎশিল্পের উন্নতির বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী মন্ত্রী  মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা  ব্যবস্থা করব বলে ।