lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-25T08:51:32Z
শিক্ষা

কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া চরাঞ্চলে মাধ্যমিকের হাজারো শিশু শিক্ষা বঞ্চিত

Advertisement


 

ফিরোজ কবির, জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া চরাঞ্চলে নেই কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে অকালে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। শহরে পড়তে যাওয়ায় অভিভাবকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। উচ্চশিক্ষা হতে বঞ্চিত ৭টি চরাঞ্চলের হাজারো শিশু। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের।



সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার জন-বিচ্ছিন্ন নুনখাওয়া ইউনিয়নের চারিদিক ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গাধর নদী বেষ্টিত-ভাঙন কবলিত ব্যারীরচর, মাঝেরচর, গুচ্ছগ্রাম, বারোবিশ, ফকিগঞ্জ, কাপনা, কালিকাপুর চরাঞ্চলের ২৫হাজার মানুষের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে রয়েছে ফকিগঞ্জ, ব্যাপারীরচর, চর নুনখাওয়া, চর কাপনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় পরবর্তীতে এগুতে পারছে শিক্ষার্থীরা। এতে অকালে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। ফলে বাড়ছে বাল্য বিবাহ। মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়তে হলে ৫ কিলোমিটার বালুচর হেটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বম্মপুত্ত, গঙ্গাধর নদী পার হয়ে নুনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতে হয়। এতে অভিভাবকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। উচ্চশিক্ষা হতে বঞ্চিত এসব চরাঞ্চলের হাজারো শিশু। এ অবস্থায় ৭টি চরাঞ্চলে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি স্থানীয়দের।



চরাঞ্চলের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, ৭টি চরাঞ্চলে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরই পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নও থমকে যাচ্ছে। এই চরাঞ্চলে একটি মাধ্যমিক স্কুল স্থাপনের দাবি সংশ্লিষ্টদের কাছে।



সাইদুর, সজিব বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশ করেছি কিন্তু চরাঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় বাড়ীতে কাজ করছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়তে হলে ৫ কিলোমিটার বালুচর হেটে এবং দুটি নদী পার হয়ে নুনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে হয়। সে সামর্থ আমাদের নেই।

নুনখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, নুনখাওয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র গঙ্গাধর নদী বেষ্টিত ব্যারীরচর, মাঝেরচর, গুচ্ছগ্রাম, বারোবিশ, ফকিগঞ্জ, কাপনা, কালিকাপুর চরাঞ্চলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় অকালে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান তিনিও।



নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল হাই রকেট বলেন, নুনখাওয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় অকালে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসক ইউপি চেয়ারম্যান কে নির্দেশনা দেয়। আশা করছি শীঘ্রই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে।



কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, নুনখাওয়া চরাঞ্চলে দ্রুত মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান কে বলা হয়েছে এবং স্কুলটি দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্থাপন হবে।