lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-02-13T12:10:35Z
ব্রেকিং নিউজ

ফুলবাড়ীতে বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

Advertisement


 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীর নিবাস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পাঁচজন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা।


অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজের গুণগত-মান যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে উপজেলায় ৩৬জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৪লাখ ১০হাজার ৩৮২টাকা। ৬টি লটে ৩৬টি বীর নিবাস নির্মাণের জন্য আলাদা আলাদা ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ৫নং লটের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। লটের ঠিকাদার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।


সরেজমিন ঘুরে কথা হয় অভিযোগকারী অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ব্যাপারী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আমার মত গরীব মুক্তিযোদ্ধার জন্য ঘরের বাজেট দিয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার হারুন অর রশিদ ঘরের ঠিকাদারি নিয়ে আমার সাথে তাফালিং শুরু করেছে। আমার বাড়িতে ঘর নির্মাণের জন্য ইট, খোয়া ও বালু এনেছে। সবগুলো নিম্নমানের। আমি একারণে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর প্রতিকার চাই।


বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমার এখানে ঠিকাদার যে মালামাল এনেছে সব নিম্নমানের। তাই আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।


বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ উদ্দিন ব্যাপারী বলেন, আমার ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। হারুন ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। কাজের মান একেবারে ভালো না। আমি কাজ বন্ধ করতে বলেছি। ঠিকাদার হারুন আমাকে হুমকি দিয়ে বলে কাজে বাধা দিলে বন্ধ করে দিব। আপনার আর ঘর হবে না। আমি বিচার চাই। সে কেন এভাবে বলবে। এছাড়াও ৫নং লটের অপর দুই মুক্তিযোদ্ধাও নির্মাণ কাজে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। এখনো একজন মুক্তিযোদ্ধার বীর নিবাস নির্মাণকাজ শুরু করাই হয়নি।


ঠিকাদার হারুন অর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ বলেন, বীর নিবাস নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ফুলবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত চলছে। অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।