Advertisement
মহেশখালী প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভায় আলহাজ্ব আমান উল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে একই এলাকার সন্ত্রাসীরা। চাঁদা না দিয়ে এলাকায় ব্যবসা করলে ব্যাবসায়ীকে হত্যার হুমকি ও দেই তারা।
এ ঘটনায় সোমবার (১১ ই মার্চ) দুপুরে মহেশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।ভুক্তভোগী পৌরসভার লামার বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আমান উলাহ পুটিবিলা এলাকার মৃত আলী মিয়া'র ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- দাসিমাঝি পাড়া এলাকার রমিজ আহমদের ছেলে সালাহ উদ্দীন (৩০) সহ সঙ্গী আরো ২ জন মিলে এ চাঁদা দাবী করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ই মার্চ রাতে ১০ টার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে, বাড়ী যাওয়ার পথে তাঁর মালিকানাধীন খালেদ বিন ওলিদ মাদ্রাসা সামনে জমিতে দীর্ঘদিন ধরে দোকান ঘর নির্মানে কাজ চলমান, ঐ কাজ দেখতে গেলে এ হঠাৎ করে৷ স্থানীয় সালাহ উদ্দীন ধারালো ছুরি হাতে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে সালাহউদ্দীন'সহ আর ২ জন লোক তাকে মারপিট করার চেষ্টা করে। পরে ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে অভিযুক্তরা তাকে চাঁদা না পেলে শান্তিতে দোকান ঘর করতে দিবে না বলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। বর্তমানে তাদের ভয়ে সে দোকান খুলিতে পারছে না।
ভুক্তভোগী আমান উল্লাহ বলেন, আমি এলাকায় দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত পুটিবিলায় বসবাস করছি, পৌরসভা এলাকায় ব্যাবসা করে আসতেছি। এলাকার সবার সাথে আমার চলাফেরা, কেউ বলতে পারবেনা আমি খারাপ। আমার দুইটি ব্যবসার দোকান সহ লোহার মেশিনারি পার্টসের ব্যবসা করে আসতেছি, আমি একটু ভালো চলিতেছি এটা এলাকার কিছু মাদক সেবন কারি আমার কাছে চাঁদা দাবি করে তারা বলে এলাকায় ব্যবসা করতে হলে তাদের দাবি পুরন করে ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু আমি রাজি না হলে তারা দলবল নিয়ে আমার দোকানে ও আমার উপর হামলা করে আমি যেন চাঁদা দিয়ে দোকান খুলি। তানা হলে আমাকে ছুরি মেরে ফেলারও হুমকি দেয়, আমি কোন মতে স্থানীয় আবুল কালামের সহযোগিতায় আত্মরক্ষাতে চলে আসি, এখন কাজে বাঁধা ও হুমকিতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তদন্তের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, গত কালের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি, তার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুুরি'সহ আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে, এখন ভয়-ভিতি, হুমকি-ধামকি ও চাঁদা দাবী অভিযোগ। আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
বিষয়টি নিয়ে মহেশখালী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) তাজ উদ্দিন বলেন, এখনো বিষয়টি আমি দেখিনি। তদন্ত করে দেখার পর যদি কেউ চাঁদা দাবি করে তবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।