Advertisement
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের উত্তর ব্যাপারীরহাট গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী ব্যাপারীর পুত্র সাব রেজিস্টার জাহাঙ্গীর আলম গত ১৫বছরে ইট ভাটা, পেট্রোল পাম্প ও অঢেল অর্থ বিত্ত, ভূ-সম্পত্তির পাহাড় সহ হাতে তার আলাদিনের চেরাগ! জাগো নিউজ ও বিভিন্ন পত্রিকায় গত ১২সেপ্টেম্বর ২০১৯সালে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেন সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। ঘটনা- ময়মমনসিংহের ভালুকা উপজেলার তৎকালীন সাব রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম জমির কাগজ জালিয়াতির মাধ্যমে ৯কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৯কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে সাব রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে। তবে জাহাঙ্গীর আলমের কয়েক বন্ধুরা বলছেন অর্থের বিনিময়ে দুদকের মামলা নিষ্পত্তি করেছেন সাব রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের উত্তর ব্যাপারীরহাট গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী ব্যাপারীর ৬জন পুত্রের মধ্যে সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান লিয়াকত আলী লাকু, ফারুক ব্যাপারী ও জাহাঙ্গীর আলম। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম নাগেশ্বরী মহিলা কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ১৯৯৪সালে যোগদান করেন ও চাকরী চলাকালীন গত ২০০৯খ্রিঃ মুজিব নগর সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সাব রেজিস্টার চাকরিতে যোগদান করে বিভিন্ন উপজেলায় চাকরি করে গত ১৫বছরে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েন এবং নামে-বেনামে কিনেছেন কোটি টাকার সম্পদ। সাব রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমের নাগেশ্বরী আশারমোড় (বল্লভপুর) সওজ রাস্তার পশ্চিমে মেসার্স উত্তরা ফিলিং স্টেশন, উত্তর ব্যাপারীরহাট সংলগ্ন এমএসবি ইট ভাটা এবং রংপুর বদরগঞ্জে ১০একর জমিতে রয়েছে দুটি ইট ভাটা। ভাই, স্ত্রী, পুত্রের নামে এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্রয় করেছেন প্রায় কয়েক একর জমি এভাবে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এদিকে তার বড় ভাই সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান লিয়াকত আলী লাকু কে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে মড়িয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন এবং ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দিচ্ছেন অর্থ, লুঙ্গি, শাড়ি, কাপড়সহ নানা ধরনের অনুদান। জাগো নিউজ ও বিভিন্ন পত্রিকায় গত ১২সেপ্টেম্বর ২০১৯সালে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেন সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। ঘটনা- ময়মমনসিংহের ভালুকা উপজেলার তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম জমির কাগজ জালিয়াতির মাধ্যমে ৯কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৯কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে। তবে জাহাঙ্গীর আলমের বন্ধুরা বলছেন অর্থের বিনিময়ে দুদকের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
অভিযোগকারী ও স্থানীয়রা জানান, সাব রেজিস্টার জাহাঙ্গীর আলম নাগেশ্বরী আশারমোড় (বল্লভপুর) সওজ রাস্তার পশ্চিমে মেসার্স উত্তরা ফিলিং স্টেশন, উত্তর ব্যাপারীরহাট সংলগ্ন এমএসবি ইট ভাটা এবং রংপুর বদরগঞ্জে রয়েছে দুটি ইট ভাটা। ভাই, স্ত্রী, পুত্রের নামে কোটি টাকার সম্পদ করেছেন।
সাব রেজিস্টার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
দুদক রংপুর বিভাগীয় পরিচালক তালেবুর রহমানের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আপনারা তথ্য ভিত্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।