Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আর মাত্র ৫ দিন বাকী। নানা প্রতিশ্রুতির মধ্যেই জমে উঠেছে নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা। উঠান বৈঠক ও জন সমাবেশে প্রার্থীরা ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাাহাড্ডির লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের টাকা ছড়াচ্ছেন। ৯ প্রার্থীর মধ্যে আবুল বাশার নয়ন মৃধা একটি হত্যা মামলায় জেল হাজতে আছেন। তবে তার স্বজনরা প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। প্রার্থীদের টাকা দেয়া বন্ধে মাইকিং করা হবে বলে জানান নির্বাচন অফিসার সেলিম রেজা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৮ এপ্রিল। নির্বাচনের বাকী আর মাত্র পাঁচ দিন। চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও প্রচারনায় আছেন আবুল বাশার নয়ন মৃধা, মোতাহার উদ্দিন মৃধা, আবুল হাসান মৃধা ও জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা। অপর পাঁচজন প্রার্থী কাঞ্চন আলী মৃধা, জসিম হাওলাদার, শাহজাহার কবির, মুলকুস আক্তার, নিয়াজ মোর্শ্বেদ ইমন মৃধার কোন পোষ্টার ব্যানার ও প্রচারনা নেই। তারা ঢামী প্রার্থী হিসেবে তিন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। আবুল বাশার নয়ন মৃধা প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হীরণ গাজী হত্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। তবে তার স্বজনরা প্রচারন প্রচারনা চালাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে দুই প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের মাঝে টাকা ছড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও মোতাহার উদ্দিন মৃধা, আবুল বাশার নয়ন মৃধা ও জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার বলেন, এতো কঠিন নির্বাচন আগে কখনো দেখিনি। তিন প্রার্থীই সমানে সমান। তবে জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা (মোটর সাইকেল) চারটি ওয়ার্ডে একা প্রার্থী হওয়ায় আঞ্চলিক টানে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। তারা আরো বলেন, অপর তিন প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা (ঘোড়া), আবুল বাশার নয়ন মৃধা (অটো রিক্সা) ও আবুল হাসান একই বংশের লোক। তারা পরস্পর আত্মীয় স্বজন হওয়ায় ভোটাররা দ্বিধা বিভক্ত। পাঁচটি ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়র মৃধা অবস্থান ভালো। তবে এ ওয়ার্ডগুলোতে বেশী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলে জানান ভোটাররা।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, গত ১৩ বছর জনগনের পাশে থেকে সেবা দিয়েছি। আশা করি জনগন আমার সেবার মুল্য দিবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার বড় ভাই কামরুজ্জামান হিরু মৃধা বলেন, নির্বাচনে প্রভাবিত করতেই আমার ভাইকে হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তারপরও আমার প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি জনগন অন্যায়ের জবাব দিবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা বলেন, দুই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন। এ টাকা দেয়া বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি আরো বলেন, টাকা বন্ধ হলে অবশ্যই আমি জয়ী হবো।
আমতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতেই সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যে প্রার্থী ও তার সমর্থক নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর হস্তক্ষেপ থাকবে। ইতিমধ্যে টাকাসহ এক নারীকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রার্থীদের টাকা দেয়া বন্ধে দ্রুত সমগ্র ইউনিয়নে মাইকিং এবং পুলিশ প্রহরা বৃদ্ধি করা হবে।