Advertisement
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরীর মনিরহাট বাজারের দক্ষিণে কানিবাড়ী গ্রামের সফিকুল ইসলাম প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সাথে দীর্ঘ দুই মাস ধরে গিড়াই নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে ফায়দা লুটে নিচ্ছেন। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের মনিরহাট বাজারের দক্ষিণে কানিবাড়ী গ্রামের হাজী আব্দুল গফুর এর পুত্র সফিকুল ইসলাম প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সাথে দীর্ঘ দুই মাস থেকে মনিরহাট বাজারের দক্ষিণে কানিবাড়ী গ্রাম ও তার বাড়ীর পার্শ্বে গিড়াই নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে ফায়দা লুটে নিচ্ছে। কৃষি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পাশ্ববর্তী মানুষের ফসলি জমি ক্ষেত অনেকটা হুমকির মুখে রয়েছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, আমাদের ফসলী জমির পার্শ্বে দীর্ঘ দুই মাস থেকে সফিকুল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেন। এতে ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বালু ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম সংবাদ সংগ্রহকালে মিডিয়া কর্মীদের বাধাঁ প্রদানসহ হুমকি প্রদান করে বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করি বিষয়টি নাগেশ্বরী এসিল্যান্ড দেখবে। সফিকুল ইসলাম আবার ক্ষমতাসীন দলের নেতার পরিচয় দেন।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে অবশ্যই তদন্ত করা হবে। সরকারী বিধি নির্দেশনা অমান্য করে যদি কেউ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্টসহ বহুমাত্রিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করি।