Advertisement
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে তমা আক্তার (১৮) কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
আটককৃত আসামী লিটন আহমদ (২০) সুনামগঞ্জ সদর থানার বল্লভপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে। নিহত কলেজ ছাত্রী দোয়ারবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ আহমদের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর উপজেলার পান্ডারগাঁও এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না । নিহতের পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে লিটন বাড়িতে ঢুকে তমা'কে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রাত ৯ টার দিকে তমার ছোট ভাই বাড়ীতে এসে দরজা লাগানো দেখে ডাকাডাকি করে টিনের বেড়ার ছিদ্র দিয়ে তার বোনের লাশ দেখতে পায়। পরে তার চিৎকার শুনে আত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশিরা জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তমার লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় রাতেই নিহতের পিতা ফরিদ আহমদ দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্, পিপিএম-সেবা মামলার ঘটনার বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ বিঙ্গপ্তিতে জানান, দোয়ারাবাজার থানার পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে তমা আক্তার (১৮) সোমবার রাত ৮ টার দিকে তার বসতঘরের চৌকাঠের সাথে ওড়না দিয়ে হাটু ভাজ করা অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে বলে থানায় জানানো হয়। এমন সংবাদ পেয়ে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় পুলিশ ভিকটিমের পিতাসহ আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমের মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারদের অবহিত করেন। ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ফরিদ আহমদ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
মামলা রুজুর পর মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোহাম্মদ আবুল বাশারসহ থানা পুলিশের একাধিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীকে শনাক্ত করাসহ গ্রেফতারে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে আসামী লিটন আহমদকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মো. লিটন আহমদ ভিকটিম তমা আক্তারকে (১৮) ধর্ষণ পূর্বক হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ সময় জেলা পুলিশের অন্যান্য সদস্য ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।