lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪
Last Updated 2024-05-25T06:20:20Z
মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে আদিবাসী নারীর হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন - BD Prokash

Advertisement


মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:


দায়ন ঋষী নামে এক আদিবাসী নারীকে পিটিয়ে হত্যার পর গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শান্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁও জেলায় মানবন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছ। শুক্রবার (২৪ মে) সকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার ব্যানারে শহরের চৌরাস্তায় এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। কর্মসুচি চলাকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক সুরভী কেরকেটার সভাপত্বিতে নিহত দায়ন ঋষীর স্বামী বিষ্ণু ঋষী, দুই সন্তান সাজন , রাজন ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা দেব, সদস্য মাহমুদা আক্তার, শাহানাজ বেগম সহ বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, চুরির অপবাদে দায়ন ঋষীর ছেলেকে ধরে নিয়ে মারপিটের পর মাকেও তুলে নিয়ে মারপিট করে হত্যার করা হয়েছে। যা নিহতের সদস্যরা দাবি করছেন। কারা কারা বাসা থেকে তাদের তুলে নিয়ে গেছে স্পস্ট নামও বলছে। তারপরেও পুলিশ সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে। ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠির মানুষ এমনিতেই অবহেলিত। যে ব্যক্তিটি চুরির অপবাদ দিয়ে বাসায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারপিট করলো সে কেনো পুলিশের হাতে তুলে দিলো না। আইন নিজের হাতে কেনো তুলে নিলেন তিনি। অবিলম্বে এ ঘটনার বিচারের দাবি করেন বক্তারা। তা না হলে আরো কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তারা।



উল্লেখ্য, গত সোমবার (২০ মে) পরিষদপাড়ার নুর আলম লিটনের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিটন সহ তার লোকজন পরদিন মঙ্গলবার (২১ মে) চোর সন্দেহে একই গ্রামের দায়ন ঋষির ছোট ছেলে রাজেন (১৩) ও একই গ্রামের মৃত যোগেনের ছেলে সঞ্জিত (১৫) কে তুলে নিয়ে বাসায় আটকে রাখে।



পরে চুরির অপবাদে কয়েক দফায় তাদের মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ উঠে লিটন সহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়। ছেলেকে পেটানোর পর মাকে তুলে নিয়ে মারপিট করে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে বুধবার (২২ মে) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পৌর এলাকার ৯ নং --ওয়ার্ড পরষিদপাড়ার একটি লিচু গাছে ওই নারীর মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরা দেহ উদ্ধার করেন ।