lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
Last Updated 2024-05-03T07:56:39Z
সারাদেশ

কারা মুক্ত হলেন হেফাজতের নেতা মামুনুল হক - BD Prokash

Advertisement


এম এইচ শাহীন, গাজীপুর প্রতিনিধি: 


হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন তিনি।



এদিকে মামুনুল হকের মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত কাশিমপুর কারা ফটকের সামনে ভিড় করেন মুসুল্লিরা। সামনে তার সমর্থক ও হেফাজতের ইসলামের নেতাকর্মীরা। কিন্তু কারাসূত্রে জানা যায়, রাতে তাকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ, হিসেবে জানানো হয়, তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা থাকায় জামিনের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।



প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল এক নারীর সঙ্গে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। খবর পেয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।



পরে ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।



কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাওলানা মামুনুল হক দীর্ঘদিন কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে বিভিন্ন সময় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সর্বশেষ মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে মামুনুল হককে মুক্তি দেয়া হয়।