lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪
Last Updated 2024-05-17T12:09:19Z
সারাদেশ

পঞ্চগড় প্রায় দেড় বছর ধরে সড়কের পাশেই হোটেল করে সংসার চালাচ্ছেন এক নারী - BD Prokash

Advertisement


আছমা আক্তার আখি পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:


পঞ্চগড়ে পৌর শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছুটা সামনে ও সরকারি সড়কের পাশেই গরীব এক নারী  মোছাঃ  রাবেয়া ( ৩০) বেগম নামে প্রায় দেড় বছর ধরে একটি ছোট্ট হোটেল করে নিজের পরিবারের সব চাহিদা মেটাচ্ছেন, এতে সাহায্য করছেন তার স্বামী মোঃ তহিদুল ইসলাম (৪০)। 



সরজমিনে দেখামেলে বেশ কয়েকটি কাচের বয়ামে সারি সারি করে সাজানো আছে বিভিন্ন রকমের বিস্কুট, সেই সাথে এই গরীবের হোটেলে আরো পাওয়া যায় ছোলা- মুড়ি,খিচুরি, সাদা ভাত,ডাল,সবজি,ও অনেক রকমের ভর্তা, মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত পেট পুরে খেতে পারবে এই হোটেলে। 



প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে বিকেল ৪ অবদি খোলা পাওয়া যায় এই  খাবার হোটেল টি।বিভিন্ন স্কুল, কলেজ থেকে আসা যুবক,যুবতী সহ সব বয়সের মানুষ কম খরচে খাবার খেতে ভীড় জমাচ্ছে রাবেয়া বেগমের এই খাবার হোটেলে। 



এই বিষয় হোটেলে খেতে আসা এক কলেজ ছাত্রের  সাথে কথা হলে সে জানায়, বর্তমান সময়ে সব জিনিসপত্রের দাম অনেক বাড়তি সে খানে আমরা মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকার মধ্যে অনেক গুলো আইটেমের খাবার খেতে পারি আর এখানকার রান্না ও খুব  সুস্বাদু আমরা প্রতিদিনই এখানে খেতে আসি। 



এই বিষয়ে রাবেয়া বেগম ও তার স্বামী তহিদুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে,সাংবাদিকদের কে জানান, কোনো কাজ কেই ছোট করে দেখা উচিত না,পরিশ্রম করে খেলে এতে লজ্জার কিছু নেই। 



আমরা প্রায় দেড় বছর ধরে এই খাবার হোটেল টি শুরু করি, এতে যা আয় হয় তাতে আমাদের সংসার ভালোই চলে, কিছু দিন আগে আমার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি, বর্তমানে আমার ৯ বছরের এক  ছেলে পঞ্চগড় সরকারি বিপি স্কুলে ও ৫ বছরের এক মেয়ে ডোকরো পারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখা পড়া- করছে। 



প্রথমে মহিলা হয়ে হোটেল করা সবাই ভালো চোখে দেখতো না, কিন্তু বর্তমানে আর তেমন কোনো সমস্যা হয় না, সব মিলে আলহামদুলিল্লাহ আমার পরিবার নিয়ে ভালো আছি।



আমার এই খাবার হোটেলে বেশি ভীড় জমাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল  কলেজ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রী ও ভ্যান চালক থেকে শুরু করে শ্রমিকরা, তারা তাদের সামর্থের মধ্যেই ঘরোয়া রান্না করা খাবার খেতে পাচ্ছে।