Advertisement
এম এইচ শাহীন, গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে বনের জমিতে দোকানপাট নির্মাণে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের আট কর্মচারী সহ দু'পক্ষের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত রয়েছেন।
আহত গ্রামবাসীরা হলেন- অনিল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে দিলীপ চন্দ্র বিশ্বাস (৪৫), দীপ্তি রানী (২২), সত্যেন্দ্র চন্দ্র বর্মনের ছেলে কল্পনা রানী (৪৫), মনিন্দ্রে চন্দ্র বর্মনের ছেলে রাম চন্দ্র বর্মন (৪৮), রামচন্দ্র বর্মনের স্ত্রী ছেলে সুবা রানী (৪৫), মেঘলালের স্ত্রী বাতাসি রানী (৫৫), আব্দুল মান্নানের ছেলে মনির হোসেন (৩৫) ও নুরুল ইসলামের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৮)। তারা কালামপুর খাজারডেগ এলাকার বাসিন্দা।
বন বিভাগের আহতরা হলেন- বিট অফিসার আব্দুল মান্নান, বন প্রহরী জহিরুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, জামাল হোসেন (হাত ভেঙে গেছে ), আল মামুন হোসেন, আলাউদ্দিন (মাথা ফেটেছে, ছয়টি সেলাই করা হয়েছে) ও আলী হোসেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর পৌরসভার কালামপুর খাজারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম বলেন, খাজার ডেক এলাকায় একটি সড়ক পৌর কর্তৃপক্ষ দুই পাশে দুই ফুট করে প্রশস্ত করে। এতে ওই সড়কের দুই পাশের কিছু দোকান ও ঘর ভাঙা পড়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা বনের জমিতে ফের তাদের ঘরবাড়ি ও দোকান মেরামতের কাজ শুরু করলে বন বিভাগের কর্মচারীরা তাদের বাধা দেন। এ সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে খাজার ডেক এলাকার বাসিন্দা দীলিপ বর্মন বলেন, ‘সড়ক নির্মাণকাজে ভাঙা পড়া দোকানপাট আবার যাতে নির্মাণ করা যায় সে জন্য চন্দ্রা বিট অফিসের কর্মচারী তোফাজ্জল হোসেনকে টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাঙা পড়া দোকানপাট নির্মাণ করতে গেলে বন অফিসের লোকজন এসে বাধা দেয় এবং গ্রামবাসীর ওপর হামলা শুরু করে।
বন প্রহরী তোফাজ্জল মিয়া বলেন, অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার জের ধরে কাউন্সিলর আবুল কাশেম তার লোকজন নিয়ে হঠাৎ আমাদের উপর আক্রমণ করেন। আমরা কোন রকম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করি। তবে আমাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
বন বিভাগের কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করীম বলেন, খাজার ডেক এলাকায় সকালে কয়েকজন ব্যক্তি সড়কের পাশে বনের জমিতে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করছিল।
খবর পেয়ে চন্দ্রা বিটের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা ওই সব দোকান নির্মাণে বাধা দেন। এ সময় তারা আমাদের আট কর্মচারীর ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাছিম বলেন, এ ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষে দীপ্তি রানী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে বন কর্মকর্তাদের পক্ষে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।