lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
Last Updated 2024-05-10T16:00:54Z
কৃষি

ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটার ধোঁয়ায় ঝলসে গেছে ৬০ একর বোরো ধান ক্ষেত - BD Prokash

Advertisement


মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:


ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় তিন ইট ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধান ক্ষেত ঝলসে গেছে। এতে চরম বিপদে পরেছেন প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক।  সম্প্রতি গত  ৯ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন কৃষি বিভাগ। পীরগঞ্জ পৌর শহরের গুয়াগাঁও গ্রামের ফসলি জমির আশেপাশে ঢাকাইয়া শহজাহান, বেলাল ও আকবর আলী নামে তিন ব্যক্তি তিনটি ভাটা গড়ে তুলেছেন। তাদের ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে পরিবেশ দূষনের পাশাপাশি আশপাশের ফসল ও বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ভাটার কালো ধোঁয়ায় আর গরম বাতানে আশপাশের প্রায় ৬০ একর বোরো ধান ক্ষেত ঝলসে গেছে। এর প্রতিকার পেতে বুধবার (৮ মে) পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। ফসল হারানোর শংকায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা। কৃষক অহিদুল, শাহজাহান, বাদল সহ অনেকে জানান, ধার দেনা করে তারা তাদের বোরো ধান ক্ষেত আবাদ করেছিলেন। এখন ধানের শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে তাদের ধানের পাতা ঝলসে হলুদ হয়ে গেছে। আর সেইসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার সবটাই চিটা হয়ে গেছে। শীষে কোন ধান নাই। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। সম্প্রতি গত  ৯ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, অনেকে ধার দেনা করে বোরো ধান আবাদ করেছেন। অবৈধ ইটভাটার কারণে তাদের ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানািচ্ছ।



এদিকে  পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ৯ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন রায়। তিনি বলেন, তাপের কারণে ফসলের এমন অবস্থা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা তারা পর্যবেক্ষনে রেখেছেন। এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিকরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে ফসলি জমির ইটভাটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরো ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষি অর্থনীতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তাই এসব ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষক সমাজ।