lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Last Updated 2024-05-19T03:09:46Z
সংবাদ সম্মেলন

মামলার সাক্ষী হওয়ায় মসজিদের ইমাম কারাগারে, মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন - BD Prokash

Advertisement


বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ


ফরিদপুরের সালথায় এক নারী ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী হওয়ায় মসজিদের একজন ইমামের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মামলা দায়েরের খবর জানতে পেরে থানায় খোঁজ নিতে গেলে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই ইমামের পরিবারের সদস্যরা। সালথা উপজেলার আটঘর গ্রামের মধ্য পাড়ায় কমির উদ্দিনের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ঐ ঘটনা নিয়ে কয়েকটি অনলাইনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশেরও প্রতিবাদ জানানো হয়।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আটঘর গ্রামের মৃত ঝড়ু মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা (৩৮) বলেন, আটঘর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার রাজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে এলাকার জমিজমা নিয়ে দু'পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি চাঁদাবাজি মামলা হয় আদালতে। ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন আটঘর জামিয়া মাদানিয়া মসজিদের ইমাম মাওলানা হেদায়েতউল্লাহ ওরফে খোকন মোল্লা (৪৫),  তার চাচাতো ভাই মাওলানা শাহজাহান মোল্লা (৬৫), কোমরউদ্দিন মোল্লা (৭৫) ও পান্নু মোল্লা (৪৫)। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেলেও এই মামলার আসামি আটঘর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার লতিফ মোল্লা (৫৫) আদালতে হাজির হলে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদাবাজি মামলার আরেক আসামি মহিলা মেম্বার রাজিয়া বেগম তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গত ১২ মে সালথা থানায় হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।



সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, মামলা দায়েরের পরে রাতেই পুলিশ আসামিদের বাড়িতে যায়। তখন বাড়িতে পুরুষ সদস্যরা ছিলেন না। পরে বাড়িতে পুলিশ আসার খবর জানতে পেরে খোকন মোল্লা ও শাহজাহান মোল্লা সহ  চারজন থানায় যান। পুলিশ একজন থেকে তিনজনকে বাড়ি চলে যেতে বললে খোকন মোল্লা থেকে যান। পরে খোকন মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরেরদিন রাজিয়া বেগমের চাঁদাবাজি মামলায় আদালতে চালান করা হয়। ওই মামলায় তিনি এখন কারাগারে বন্দি।



সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, শাহজাহান মোল্লার দুই ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী। কমিরউদ্দিনের এক ছেলেও একযুগেরও বেশি মালয়েশিয়া থাকেন। খোকন মোল্লা চারবছর সৌদি আরবে থেকে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করে দেশে ফিরে ইমামতি করছেন। তিনি আরবী লাইনে মাস্টার্স পাশ একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। তাদের পক্ষে রাজিয়া বেগমের গলার সামান্য চেইন ছিনতাই করা অসম্ভব। আর তাদের নিকট কোন পিস্তলও নেই যা দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করবে। তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও খোকন মোল্লার মুক্তি দাবি করেন।



সংবাদ সম্মেলনে কমিরউদ্দিন মোল্লার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৬৮), পান্নু মোল্লার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৬), জয়নব বেগম (৪৫), খোকন মোল্লার বড় ভাই দেলোয়ার মোল্লা (৬০), ফহম মোল্লা (৬১), আফতাব মাতুব্বর (৫৫), ওহিদ মোল্লা, বিশু মোল্লা, পিকুল মোল্লা, সোনিয়া বেগম, মোসাঃ সামেলা বেগম সহ অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসী ও জেলা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।