Advertisement
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরীর নেওয়াশী ইউনিয়নের খেওনীটারী (কালীরপাট) ও চাকেরকুটি জামে মসজিদ সংলগ্ন দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে ফায়দা লুটে নিচ্ছেন বালু খেকো ব্যবসায়ী সুমন আলী ও দুলাল হোসেন। দীর্ঘদিন থেকে দাপটের সাথে বালু উত্তোলন করছে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের ফকিরেরহাট থেকে দক্ষিণে হয়ে পুর্বে খেওনীটারী (কালীরপাট) সংলগ্ন বালু খেকো সুমন আলী দীর্ঘ এক মাস ধরে গিড়াই নদী থেকে এবং নেওয়াশী ইউনিয়নের ফকিরেরহাট থেকে উত্তরে মালেক মেম্বারের বাড়ী থেকে ৭০০গজ উত্তরে চাকেরকুটি জামে মসজিদ সংলগ্ন দুলাল হোসেন দীর্ঘ দুই মাস থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে ফায়দা লুটে নিচ্ছে। বালু ব্যবসায়ী সুমন আলী ও দুলাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সাথে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ফায়দা লুটে নিচ্ছেন। কৃষি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পাশ্ববর্তী মানুষের ফসলি জমি ক্ষেত অনেকটা হুমকির মুখে রয়েছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, আমাদের ফসলী জমির পার্শ্বে দীর্ঘ দুই মাস থেকে সুমন ও দুলাল ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেন। এতে ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বালু ব্যবসায়ী সুমন আলী ও দুলাল হোসেন, সংবাদ সংগ্রহকালে মিডিয়া কর্মীদের বাধাঁ প্রদান প্রদান করে বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করি বিষয়টি নাগেশ্বরী এসিল্যান্ড দেখবে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে অবশ্যই তদন্ত করা হবে। সরকারী বিধি নির্দেশনা অমান্য করে যদি কেউ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।