lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪
Last Updated 2024-05-23T11:46:52Z
আইন ও অপরাধ

আমতলী চাঞ্চল্যকর হীরণ গাজী হত্যা মামলার ক্লু উদঘাটন, সম্পত্তির লোভে শ্বশূরকে জামাতার হত্যা

Advertisement


বরগুনা প্রতিনিধি:


আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর হীরণ গাজী হত্যা মামলার ক্লু উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। মামলার তিন নম্বর স্বাক্ষী হত্যার শিকার হীরণ গাজীর ছোট জামাতা ইমরান সরদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ইমরান সরদার সম্পত্তির লোভে শ্বশুর হীরণ গাজীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা ১৬১ ধারার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামাতা ইমরান সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে আসামী জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।  



পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গত মাসের ১১ এপ্রিল রাতে আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার লোকজন ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে যায়। এতে বাঁধা দেয় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হীরণ গাজী। ওই ঘটনার পরপরই ওই রাতে হীরণ গাজীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হীরণ গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে আমতলী থানায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রধান আসামী আবুল বাশার নয়ন মৃধা জেল হাজতে রয়েছেন। এ হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উপঘাটনে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম বরগুনা ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবির এস আই মোশাররফ হোসেনকে এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়। ঘটনা উদঘাটনে তদন্তে নামে ডিবি পুলিশ। ওই মামলার স্বাক্ষী করা হয় হত্যার শিকার হীরণ গাজীর ছোট জামাতা ইমরান সরদারসহ বেশ কয়েকজনকে। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্তে মামলার মোটিভ ঘুড়ে যায়। ঘটনার এক মাস পরে অর্থ্যাৎ গত ১১ মে ডিবি পুলিশ মামলার ৩ নম্বর স্বাক্ষী ইমরান সরদারকে গ্রেপ্তার করে। ইমরান সরদার ডিবি পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ক্লিনিং মিশনে ইমরান সরদার ও তার বড় ভাই মিলন সরদারসহ ৭ জন অংশ নেয়। পুলিশের কাছে ইমরান সরদার স্বীকার করেছে শ্বশুর হীরণ গাজীর সম্পত্তি ভোগ-দখল করতে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে পুঁজি করে পরিকল্পনা মাফিক হীরণ গাজীকে জামাতা ইমরান সরদার, তার বড় ভাই মিলন সরদারসহ তার (ইমরান) পরিবারের লোকজন ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে নির্বাচনে হীরণের প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করেছে বলে চালিয়ে যায় এবং তাদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ মামলার আরো রহস্য উদঘাটনে ডিবি পুলিশ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ট আবেদন করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।   



বরগুনা ডিবি পুলিশের এস আই মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, মামলার ৩ নম্বর স্বাক্ষী  হত্যার শিকার হীরণ গাজীর ছোট জামাতা ইমরান সরদারকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে ইমরান সরদার ১৬১ ধারায় হত্যাকান্ডের মূল রহস্য স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, শ্বশুরের সম্পত্তি দখল করলেই জামাতা ইমরান সরদার  তার পরিবারের লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে শ্বশুরকে হত্যা করেছে। অধিকতর তদন্তে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে আসামী জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।