Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের মাঝে গরুর (বকনা) বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৪ জুন) সকালে তালতলী উপজেলা পরিষদ চত্বরে জেলেদের মাঝে বিনামূল্যে মৎস বিভাগের গরু বিতরণ করার আয়োজন করা হলে জেলেদের চাপের মুখে ও নানা অনিয়মের কারনে গরু বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
গরু নিতে আসা অসহায় জেলেরা বলেন আমাদের জন্য ক্রয় করে আনা প্রতিটা গরুর বাছুরের দেড় বছর বয়স ও ৩০ হাজার টাকা দামের কথা থাকলেও আমরা দেখতে পাই ৫ থেকে ৬ মাসের ছোট বাছুর আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই বাছুরগুলো ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দামে ক্রয় করেছে এবং গরুর বাছুর গুলো ছাগলের মত ছোট আকারের দেখতে।
এর আগেও জেলেদের মাঝে বাছুর বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও এই প্রথমবার জেলেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বাছুর না নিয়েই বাড়ি ফিরে যায়।
জেলে মোঃ কালাম তালুকদার আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এটা আমাদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। এত ছোট দুধের বাছুর আমরা কিভাবে লালন পালন করব এই ছোট- গরু গুলো মায়ের বুকের দুধ ছাড়া বাঁচানো বড়ই কঠিন। কারণ এরা মায়ের দুধ ছাড়া ঘাস খরকুটা খাওয়াও শিখেনি, তাই এই অনুদান নেওয়ার চেয়ে আমাদের না নেওয়াই ভালো।
এ বিষয়ে গরু সরবরাহকারী ঠিকাদার মোহাম্মদ আজাদকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর ভাইন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে অসহায় জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে যে (বকনা) বাছুর গরু দেয়া হয়েছে বাছুর গুলির মধ্যে বেশ কিছু বাছুর আকারে ছোট হওয়ায় জেলেরা নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। তাই আমরা গরুগুলিকে আবার ঠিকাদারের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। পরবর্তী ১ মাসের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা বলেন, অসহায় জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য যে (বকনা) বাছুর গুলো আনা হয়েছে সেগুলো অনেক ছোট। আমার পছন্দ না হওয়ায় ঠিকাদারের কাছে বাছুরগুলো ফেরত পাঠিয়েছি এরচেয়ে একটু বড় বাছুর দেয়ার জন্য।