Advertisement
খাঁন আহম্মেদ হৃদয় পাশা,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পূর্ব শত্রুতার সূত্রধরে আনোয়ার দেওয়ান(৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে গুরতর জখম করেছে মনির সিকদার(৩৬)। ৮ জুন (শনিবার) বিকেল ৪ ঘটিকার সময় উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আদানী মাজার পাড়ের পার্শ্ববর্তী ভূয়াইদ ভাতগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার দেওয়ান(৪৮) আদানী গ্রামের মৃত সবুর দেওয়ানের ছেলে। এদিকে ঘাতক মনির সিকদার একই গ্রামের মৃত সামাদ সিকদারের ছেলে বলে জানাযায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ডি.এম.মাখন দেওয়ান বলেন,আমি আমার মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে মাজার পাড়ের দিকে আসতেছিলাম এমন সময় দেখি মনির সিকদার আনোয়ার দেওয়ানকে দা দিয়ে কোপাচ্ছে, তাৎক্ষণিক আমি আত্মচিৎকার দিয়ে মনিরকে বলি' "তোর ভালো হবে না কিন্তু মনির" তখনই সে দক্ষিণ দিকে দাঁ হাতে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এসময় আহত অবস্থায়, আনোয়ার দেওয়ানকে ধরাধরি করে মাজার পাড়ে নিয়ে আসি এবং সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।এদিকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপানোর জন্য আনোয়ার দেওয়ানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সখীপুর উপজেলার কর্তব্যরত ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছে।
এ ঘটনায় আদানি মাজার পাড় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এলাকা জুড়ে চলছে টানটান উত্তেজনা।এলাকাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছেন, মনির সিকদার ও তার পরিবারের লোকজন কেউ এই এলাকার বাসিন্দা না তারা, তারা মূলত কালিহাতি উপজেলার বহরমপুর গ্রামের বাসিন্দা,এটা তাদের নানার বাড়ির দেশ।তারা আমাদের গ্রামের অনেক সুনাম নষ্ট করছে,তাদের কঠিন বিচার চাই।
ইতিমধ্যেও আনোয়ার দেওয়ানকে মারার উদ্দেশ্যে শাপল দিয়ে হত্যার জন্য আক্রমণ করে এবং তাকে চাঁদা বাজির মামলা দিয়ে হয়রানি করে ব্যর্থ হয়ে আজ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়েই এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে।আমরা তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
এবিষয়ে সখীপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীর স্বজন ডিএম.আপন এবং তিনি আরও জানান রোগীর দুই হাত, দুই পা ও দুই কাঁধে মারাত্মক ভাবে কেটে যাওয়ায় রোগীর অবস্থা আশংকাজনক,তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সখীপুর থেকে টাঙ্গাইল রেফার করা হয়েছে।রোগী সুস্থ হলে জানা যাবে ঘটনার সময় ঘাতক মনির সিকদারের সাথে আর কে কে ছিল।এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হনুফা বেগম তীব্র নিন্দা জানান তিনি।