lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
Last Updated 2024-07-03T05:33:24Z
সারাদেশ

পঞ্চগড়ে পল্লী বিদ্যুতের বিল নিয়ে বিপাকে গ্রাহকেরা - BD Prokash

Advertisement


পঞ্চগড়  প্রতিনিধি :


 পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ও  বোদা উপজেলায় লোডশেডিংয়ের মাঝেও পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন  গ্রাহকরা।গ্রহকদের অভিযোগ, বিল নিয়ে অফিসে ঘোরার পরও কোনো সমাধান দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।


 

আরও অভিযোগ তুলেন, প্রতিটি বিলে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দেওয়া হয়েছে। বিলের কপিতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিপরীতে ভ্যাট, বিলম্ব মাশুল যোগ করেও চূড়ান্ত বিলের সঙ্গে গরমিল পাওয়া গেছে।



এমন ভূতুড়ে বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকেরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে ।সোমবার (১ জুলাই) উপজেলার বোদা বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে গেলে স্থানীয়রা এ অভিযোগ করেন।জানা গেছে, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় তীব্র তাপদাহের মাঝে দিন ও রাতে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে।



কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেলেও দেওয়া হচ্ছে ভূতুড়ে (অতিরিক্ত টাকা) বিদ্যুৎ বিল। এক মাসের ব্যবধানে বিদ্যুৎ বিল এসেছে তিন থেকে চার গুণ।



স্থানীয় আব্দুল রশিদ নামে এক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা গ্রাহক, আমরা তো সুবিধা চাইব। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও তারা আমাদের সুবিধা দিতে পারতেছে না। বিভিন্ন চার্জ দিয়েও আমরা ভোগান্তিতে। এখন নতুন ভোগান্তি হয়ে উঠেছে ভৌতিক বিল।



আব্বাস আলী নামে আরেকজন বলেন, থাকে না বিদ্যুৎ, যা একটু বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, তাতে দুটি লাইট ও একটি ফ্যান চলে। তারপরও বিলে অনেক টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। গত মাসে আমার ২০০ টাকার মতো বিল এলেও এবার এক হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।



আব্দুল জব্বার মিঞা আরেক ব্যক্তি বলেন, অতিরিক্ত বিলের বিষয় নিয়ে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ অফিসে ঘুরেও প্রতিকার পাচ্ছি না। পরে বাড়তি টাকাসহ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমন অদ্ভুত নিয়ম এ দপ্তরের। ভুল নিজেদের হলেও সেটার দায় গ্রাহকের ওপর চাপানো হয়। আমাদের এ সমস্যা দেখার কেউ নেই।



অনেকেই আবার অভিযোগ করেছেন, মিটার রিডারসহ সংশ্লিষ্টদের মনগড়া বিল করে তা গ্রাহকদের ধরিয়ে দিচ্ছে। তাই দ্রুত লোডশেডিং ও ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের সমাধানের দাবি গ্রাহকদের।



ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পঞ্চগড়ের বোদা উপ কেন্দ্রের এজিএম মো. জয়নুল হক বলেন, অতিরিক্ত বিলের যে বিষয়টি বলছেন, এটা অনেক সময় আমাদের কারিগরি সমস্যায় হতে পারে। যেহেতু এটি একটি যান্ত্রিক জিনিস, অনেক সময় সমস্যা হয়ে থাকে। গ্রাহকেরা অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি জানালে আমরা সেই মিটার পরিবর্তন করে দেই। আর আমাদের যারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে রিডিং সংগ্রহ করেন, তারা অফিসিয়ালি সংগ্রহ করে আমাদের দেন। সিডিউল করে দেওয়া আছে, সে অনুযায়ী তারা কাজ করেন।



অপরদিকে লোডশেডিং বলতে, আমাদের এখানে সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদা ১১ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা পিসিবির থেকে পাই সর্বোচ্চ পাঁচ মেগাওয়াট। এজন্য তাতে লোডশেডিং শুরু হয়, তখন দেখা যায়, সিস্টেমের চাহিদা আরও বেড়ে ১৪ তে চলে যায়। এতে দেখা যাচ্ছে গ্রাহককে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিলে, পরবর্তী এক থেকে দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এটা সিডিউল অনুযায়ী আমরা গ্রাহককে সেবা দিচ্ছি।