Advertisement
স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার আলোচিত উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ফরিদ গাজী কে(২৮) আটক করেছে চাঁদপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)খুনের ঘটনায় দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর রবিবার (৩০ জুন) রাতে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পিবিআই।
চাঁদপুর জেলা পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার মীর মাহবুবুর রহমান এর নেতৃত্বে এসআই আমিরুল ইসলাম, এসআই ফজলুর রহমান চৌধুরী, এএসআই আলমগীর হোসেন সহ একটি বিশেষ টিম তাকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আসামী ফরিদ গাজী মুন্সিগঞ্জ জেলার বানিয়াল মহেষপুর গ্রামের ছানাউল্লাহ গাজী ওরফে সানা গাজীর ছেলে। আসামী নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকার তল্লা পুষ্কোনির পাড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলো বলে জানায় পিবিআই।
চাঁদপুর পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক মীর মাহবুবুর রহমান জানান, আটকের পর আসামীকে আজ ১লা জুলাই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সাথে জড়িত থাকাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। তিনি জানান, আসামি মো. ফরিদ গাজীর বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতি, ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্র আইনসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
পিবিআই এর তদন্তকারী এ কর্মকর্তা জানান, তারা আসামীকে রিমান্ডে আনার আবেদন করবেন। রিমান্ড আবেদন মঞ্চুর হলে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে তিনি আশা করেন।
তিনি বলেন মামলার এজাহারে উল্ল্যেখিত কিছু আসামীদেরকে ইতিমধ্যে গ্রেফাতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত এখন পর্যন্ত চলমান আছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গগত, গত ২০২২ সালের (৫মে ) ঈদ পুর্নমীলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ শ্বশুরবাড়ী চাঁদপুরে যান রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জল মিয়াজী। রাতে তিনি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করতে গেলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে এজহারে উল্লেখিত নৌ ডাকাত কবির খালাসী, জজ মিয়া খালাসী, নাহিদ খালাসী, তুষার খালাসী ও বাবলা ডাকাত ও ফরিদ গাজীসহ চক্রের আরও ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নে ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। পরে উজ্জলের মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ক্ষতবিক্ষত দেহ মাটিতে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় কবির খালাসিকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজী মামলা নং ৬ (৫) ২২। নৌ ডাকাত বাবলা ওরফে উজ্জ্বল খালাশী, কবির খালাসি সহ এ চক্রের সহযোগীরা এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।