Advertisement
জহিরুল ইসলাম,যশোর প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছায় ফজিলা খাতুন নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর পর স্বামীর বাড়ির লোকজন লাশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, যশোরের ঝিকরগাছা থানার কন্দবপুর ভাইনা গ্রামের মোস্তফা হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় ফজিলা খাতুনের। ফারুক ও ফজিলা দম্পত্তির ঘরে মারুফা খাতুন (৭) ও লামিয়া খাতুন (৩) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহতের স্বামী ফারুক হোসেন পেশায় একজন শ্রমিক ও মাদকাসক্ত এবং মাঝে মাঝে ফজিলা খাতুনকে মারধর করতো।
নিহতের মা ঝর্ণা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ের স্বামী তাকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো। মৃত্যুর আগেরদিনও সে মারধর করেছে। আমার মেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে। কোন উপায় না দেখে আমরা লাশ নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি। আমার মেয়ের লাশ তার স্বামীর বাড়িতে দাফন হলো না, তারা আমার মেয়েটাকে হত্যা করেছে।
ঝিকরগাছা থানার এস আই সালাউদ্দীন জানান, থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।