Advertisement
বেনাপোল প্রতিনিধি:
২০১৯ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে চাহিদা ভিত্তিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়নের তিন প্রকল্প এর আওতায় ২৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে শার্শা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বিদ্যালয়ে শিশুদের শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা, ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীর হার বৃদ্ধি, শিশুর মানসিক বিকাশ, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চশিক্ষা ও পরিপূর্ণ উন্নতির ধারবাহিকতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা এবং শিশুবান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিতসহ শিক্ষার মান বৃদ্ধি হবে।
শার্শা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ৩টি প্রকল্পের আওতায় ৫ বছর মেয়াদি ৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ও নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।
এর মধ্যে ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণের কাজ ও বাউন্ডারি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ শেষ হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এসব ভবন ও উন্নয়ন মূলক কাজ শেষ হওয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এখানকার মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে।
কাজ শেষ হওয়া এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার মানউন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)'র মাধ্যমে বিদ্যালয়ের যে উন্নয়ন হাতে নিয়েছে তা সত্যিই অনেক প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ সহ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মূখী হবে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে।
নাভারন রেল বাজার প্রথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনেওয়াজ পারভীন জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের মান অনেক ভালো,শিক্ষার্থীরাও এখন অনেক স্বাচ্ছন্দে ক্লাস করতে পারছে। আমরাও অনেক ও স্বাচ্ছন্দবোধ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)'র প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাছি।
শার্শা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)' শীর্ষ কর্মকর্তা এম এম মামুন হাসান বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে ৫ বছর মেয়াদি চাহিদা ভিত্তিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে ৮০% শতাংশ শেষ হয়েছে। কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অতিদ্রুত বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, শিক্ষা খাতে বিস্তর উন্নয়নের জন্য সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শার্শা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে আশা করছি সরকারের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।