lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
Last Updated 2024-07-14T11:44:17Z
আইন ও অপরাধ

মান্দায় যৌতুকের দাবিতে কিশোরী গৃহবধূকে নির্যাতন - BD Prokash

Advertisement


নিজস্ব প্রতিবেদক মান্দাঃ 


নওগাঁর মান্দায় যৌতুকের দাবিতে কিশোরী এক গৃহবধূর ওপর আবারও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতিম ওই কিশোরী গত দুইদিন ধরে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।



নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর নাম জাকিয়া খাতুন (১৬)। প্রায় দুই বছর আগে মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের চককেশব গ্রামের লতিফুর রহমান খোকার ছেলে আবদুর রশিদের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে বিয়ের কিছুদির পর থেকে যৌতুকের জন্য সে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল।



ভুক্তভোগী জাকিয়া খাতুন জানায়, তার জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই বাবা-মার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর মা আরিফা খাতুন তাকে নিয়ে নানার বাড়িতে থাকতেন। নানার বাড়ি চককেশব গ্রামে অবস্থানকালে মায়ের অন্যত্র বিয়ে হলে সে এতিম হয়ে পড়ে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে একই গ্রামের আবদুর রশিদের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়।



নির্যাতনের শিকার জাকিয়া খাতুন আরও জানায়, ‘বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্বামী আবদুর রশিদ ও শাশুড়ি আনোয়ারা বিবি আমার ওপর নির্যাতন শুরু করে। এতিম হওয়ায় তাদের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হই। যৌতুক দিতে না পারায় একপর্যায়ে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।’



ভিকটিম জাকিয়া খাতুন অভিযোগ করে জানায়, ‘আমার স্বামী আবদুর রশিদ এর আগে আরও দুটি বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রী বিউটি খাতুন স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে। একই কারণে দ্বিতীয় স্ত্রী সুমী খাতুন স্বামী আবদুর রশিদকে তালাক নিয়ে চলে যায়।’



ভিকটিমের নানি শরিফা বিবি বলেন, নাতনি জাকিয়ার সুখের কথা ভেবে বিয়ের পর জামাইকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু আরও টাকা দাবিতে নাতনিকে নির্যাতন করে আসছিল।  অবশেষে ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর নাতিজামাই আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে নওগাঁ আদালতে মামলা করি। অভিযুক্ত আবদুর রশিদ নাতনি জাকিয়াকে নিয়ে ঘরসংসার করার অঙ্গীকার করলে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।



নানি শরিফা বিবি অভিযোগ করে বলেন, মামলা প্রত্যাহারের কিছুদিন ভালই কাটছিল তাদের সংসার। কিন্তু কুরবানি ঈদের সময় থেকে যৌতুকের দাবিতে আবারও নির্যাতন শুরু করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কয়েকদফা মারধর করা হয় জাকিয়াকে। সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে।



এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন,  এখন পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।