Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
প্রাথমিক ভাবে অপরাধ প্রমানিত হলেও বহাল তবিয়তে আছেন আমতলী উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বড়বগী ইউনিয়ন পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, বাসুগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ ফাতেমা বেগম ও মোসাঃ লাকি আক্তার। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন মামলার বাদী নাসরিন আক্তার। তার আরো অভিযোগ বহাল তবিয়তে থেকে তারা তাকে নানাভাবে হয়রানী করছেন।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের বাসুগী গ্রামের বাসিন্দা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বড়বগী ইউনিয়ন পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী ছোট নীলগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমানের সঙ্গে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই ঘটনার জের ধরে গত বছর ২৯ অক্টোবর সাইফুল ইসলাম, তার ভাই শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, মামুন মিয়া, বাবা খলিলুর রহমান, শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম ও লাকি আক্তার প্রতিবেশী আব্দুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় ওই বছর ৬ নভেম্বর সাইফুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে শিক্ষক আব্দুর রহমানের স্ত্রী নাসরিন আক্তার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানসহ ৬ জনকে আসামী করা হয়। সাইফুল ইসলাম ওই মামলায় ১০ দিন জেল হাজতে ছিল। গত ২৯ ফেব্রæয়ারী পুলিশ ওই মামলার সকল আসামীদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। প্রাথমিক অপরাধ প্রমানিত হলেও সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ফাতেমা ও লাকীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারী চাকুরীর বিধিমালায় উল্লেখ আছে, সরকারী চাকুরীজীবি কোন কারনে জেল হাজতে গেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে হবে। বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল থাকবে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মী মোঃ সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বাসুগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার, লাকি আক্তারকে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বরখাস্ত করেনি। তারা আইনে প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বরখাস্ত না হয়ে বহাল তবিয়তে আছেন। গত ৮ মাসেও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর তাদের প্রতি আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন মামলার বাদী নাসরিন আক্তার।
মামলার বাদী নাসরিন আক্তার বলেন, প্রাথমিক অপরাধ প্রমানিত হওয়ার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর সাইফুল ইসলাম, ফাতেমা বেগম ও লাকির বিরুদ্ধের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা বহাল তবিয়তে থেকে আমাকে নানাভাবে হয়রানী করছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিউল আলম বলেন, দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা অফিসারকে সুপারিশ করেছি।
আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ইউনিয়ন মাঠকর্মী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বরগুনা উপ-পরিচালক মাহমুদুল হক আজাদ বলেন, কাগজপত্র অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অধিদপ্তরই দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।