Advertisement
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:-
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পঞ্চগড় জেলা ধীন তেতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের, দলুয়াগছ গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন, এর পুত্র মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ সকিন আলী (৭০), সে একজন সাবেক সেনা সদস্য, তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আরো দুটি বিবাহ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় মুক্তিযোদ্ধার প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান রেখে মারা যান। তার প্রথম ও দ্বিতীয় ছেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বর্তমান পুলিশ চাকুরী করছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সকিন আলী, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, রাজারপাট দাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মোছাঃ পুরবী খাতুন (৫০)কে দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ ধর্ষণ করে আসছে।
পরে পুরবী খাতুন বিয়ের চাপ প্রয়োগ করলে সকিন আলী, স্থানীয় বাবুল মুন্সি দ্বারা মৌখিক ভাবে বিবাহ করে, জানা যায় সকিন আলী, তার ছেলে মেয়ের পারিবারিক গন্ডগোলে মুক্তিযোদ্ধা সকিন আলী, পুরবী খাতুন কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে দেবনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সোলেমান আলী অবগত আছেন। অবগত আছেন পঞ্চগড় সাতমেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম রবি।রবিউল ইসলাম জানান এই বিষয়টি নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সকিন আলী, প্রতাপ শালী হওয়ায় আমার কথার কোন কন্নপাত কড়েন নাই।
তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে কোনো প্রয়োজন হলে আমাকে ডাকবেন আমি যাব। কেননা পুরবী মহিলাটি আমার ইউনিয়নের সে বড়ই অসহায়। তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এই মুক্তিযোদ্ধা তিন চার বছর ধরে তাকে ব্যবহার করে আসছে এটা সবার জানা। আমরাও চাই মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সকিন আলীর বিচার হোক।
কেননা মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এই সেনা সদস্য আলহাজ্ব মোঃ সকিন আলী, পূর্বে আরো একটি মহিলাকে বিবাহ করে ঠিক এইভাবে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা সকিন আলী, সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। এই মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে তার ঐ সহকর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশারফ হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ড্রাইভার, ও
বিযু মোহাম্মদ, বলেন মুক্তিযোদ্ধা সকিন আলী, পুরবি খাতুন, এর সাথে এক বাড়িতে থাকতে দেখেছি শুধু তাই নয় এলাকার যে কাউকেই জিজ্ঞাসা করলে বলবে পুরবী খাতুন মুক্তিযোদ্ধা সকিন আলীর স্ত্রী।
এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সকিন আলীর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে।