Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দাঃ
নওগাঁর মান্দায় ১৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও এক জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের পেটুয়া বাহিনী এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। রোববার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের তিনজন ছাত্র আহত হন। তারা হলেন, লতিফুর রহমান (২১), শাকিল আহমেদ (২১) ও শামীম হোসেন (২০)। তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানের মূলভবনে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারী ও হামলকারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এর পর ১৭ দফা দাবির পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর তৌহিদুর রহমানের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রোববার দুপুর থেকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক ২ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। এতে মহাসড়কের দুপাশে যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে স্বাভাবিক হয় যানবাহন চলাচল।
আন্দোলনকারী ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাহিন ইসলাম বলেন, গত ৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কাছে রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ, লাইব্রেরি খোলা রাখা, ক্যাম্পাসে বইয়ের ব্যবসা বন্ধসহ ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের এসব দাবির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থী মাহিন ইসলাম আরও বলেন, দাবি-দাওয়াগুলোর অগ্রগতির বিষয়ে জানতে রোববার অধ্যক্ষের কাছে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর তৌহিদুর রহমানের ইন্ধনে লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় অধ্যক্ষের পেটুয়া বাহিনী। এরপর অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান ও জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর তৌহিদুর রহমানের পদত্যাগের এক দফা দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর তৌহিদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। আমার পদত্যাগের বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছি সমাধান হয়ে যাবে।’
অন্যদিকে একইদিন গোবিন্দপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদেশ আলীর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিচার ও তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিদ্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। অবস্থা বেগতিক দেখে বিদ্যালয়ে আসেননি প্রধান শিক্ষক বাদেশ আলী। এ অবস্থায় তাঁর পদত্যাগের এক দফা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।