lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪
Last Updated 2024-08-31T09:06:31Z
ব্রেকিং নিউজ

চলাচলের পথ বন্ধ করে শিব মন্দির স্থাপন, ভোগান্তিতে শিক্ষক পরিবার

Advertisement


 

বরগুনা প্রতিনিধি:-

শিব মন্দির স্থাপন করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মান্নান মাসুদের পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন মন্দির কমিটি। এতে ওই পরিবারের চলাচলে বেশ ভোগান্তিতে পরেছে। এমন অভিযোগ এনে শনিবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্ত্রী শিক্ষক শাহনাজ বেগম। দ্রুত মন্দির অপসারণ করে তার চলাচলের পথ সুগম করে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি। 


লিখিত বক্তব্যে অসুস্থ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মান্নান মাসুদের স্ত্রী শিক্ষক শাহনাজ বেগম বলেন, গত ৩০ বছর আগে আমার স্বামী মান্নান মাসুদ আমতলী পৌর শহরের কালিমন্দির এলাকায় দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। ভবন নির্মাণের পর থেকে সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমানের আক্রোশের স্বীকার হই আমরা। পৌর নাগরিক সকল সেবা থেকে তিনি আমাকে সম্পর্ণভাবে বঞ্চিত করেন তিনি। গত দুই বছর সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমানের প্ররোচনায় কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ আমার বাসার সামনের খাস জমিতে রাতের আধারে একটি শিব মন্দির স্থাপন করে। ওই জমি নিয়ে মামলা চলমান আছে। কিন্তু মামলা চলমান থাকা সত্তে¡ও মন্দির কর্তৃপক্ষ রাতের আধারে শিব মন্দির স্থাপন করেছে। শুরুতে বলা হয় পুঁজা শেষে মন্দির অপসারণ করা হবে। কিন্তু পুঁজা শেষ হয়ে গেলেও মন্দির অপসারণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এতে আমার চলাচলের পথ সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে যায়। আমি বাসা থেকে বের হতে পারছি না। দ্রুত প্রশাসনের  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মন্দির অপসারণ করে আমার চলাচলের পথ সুগম করে দেয়ার দাবী জানাই।

স্থানীয়রা বলেন, পাশে কালি মন্দির থাকা সত্বেও একটি শিব মন্দির স্থাপন করে এক শিক্ষক পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ওই শিক্ষক পরিবারের যেমন চলাচলের পথ বন্ধ হয়েছে তেমনি সামাজিকভাবেও ওই পরিবার হেনেস্থার স্বীকার হচ্ছে। দ্রæত ওই মন্দির অপসারণ করে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা। 

কালী মন্দির কমিটির সভাপতি সুবোধ চন্দ্র শীল বলেন, কয়েকদিন আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসে পরিদর্শণ করেছেন। তার কাছে জমির কাগজপত্র দেয়া হয়েছে। পরিমাপ শেষে, জমি আমরা না পেলে মন্দির সরিয়ে নেয়া হবে।    


আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বরগুনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও আমতলী পৌর প্রশাসক শুভ্রা দাশ বলেন, ওই শিক্ষক পরিবারের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও করা হবে।