lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-09-01T02:49:36Z
দুর্নীতি ও অনিয়ম

নাগেশ্বরীতে সাব-রেজিস্টার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের দু'তলা বাড়ি ও নামে-বেনামে সম্পত্তি

Advertisement


 


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:


প্রফুল্ল চন্দ্র রায় আওয়ামী লীগ নেতা ও নন্দনপুর দ্বী মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক চাকরিকালে গত ২০১০খ্রিঃ মুজিব নগর সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সাব-রেজিস্টার চাকরিতে যোগদান করে বিভিন্ন উপজেলায় চাকরি করে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ করেন। ইতিপূর্বে ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারীসহ বিভিন্ন উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিসে কর্মরত থেকে অবাধে দুর্নীতি করাসহ বর্তমানে নিজ উপজেলা নাগেশ্বরী সদর সাব-রেজিস্টার অফিসে কর্মরত থেকে অবৈধভাবে অর্থের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন।


লিখিত অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ডাকনীরপাট গ্রামের টেপু চন্দ্র রায়ের পুত্র প্রফুল্ল চন্দ্র রায় নন্দনপুর দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ডাকনীরপাট গ্রামের পৈতৃক সম্পত্তিতে দুটি টিনের ঘর তুলে নন্দনপুর দ্বী মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি করার সময় তার অভাব অনটন ছিলো নিত্যসঙ্গী। অতি কষ্টে স্ত্রী, এক পুত্র সন্তান মাতন চন্দ্র রায়, এক কন্যা প্রীতি চন্দ্র রায়ের লেখাপড়া ও জীবন নির্বাহ করাতেন। ২০১০খ্রিঃ নন্দনপুর দ্বী মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি অবসর নিয়ে মুজিব নগর সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সাব-রেজিস্টার চাকরিতে যোগদান করে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ করেন এবং ডাকনীরপাট গ্রামের সওজ রাস্তার পাশ্বে পুরানো বাড়ি ভেঙে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করেছেন দু'তলা স্বর্ণমহল প্রসাদ একটি বাড়ি এবং নামে-বেনামে কিনেছেন কোটি টাকার সম্পদ। শুধু তাই নয় স্ত্রী, এক পুত্র মাতন চন্দ্র রায়, এক কন্যা প্রীতি চন্দ্র রায়সহ আত্মীয়ের নামে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেছেন। ডাকনীরপাট গ্রামের আছির উদ্দিন মাস্টারের পুত্র লাল মাস্টার, একরামুল হক, আফতারুজ্জামান বাবুর ৯৬শতক জমি ১৭লাখ, হাসেন আলী মাস্টারের পুত্র জয়নাল আবেদীনের ৪০শতক জমি ৯লাখ, আছমত আলীর পুত্র কেরামত আলী, জহুর আলী, আনা আলী ১৬শতক জমি ৩লাখ, রহিম উল্যার পুত্র আলহাজ্ব ইব্রাহীম আলীর ১৬শতক জমি ৪লাখ ৮০হাজার, ভবেন চন্দ্র সেনের পুত্র প্রদীপ চন্দ্রের ৩২শতক ৭লাখ, ভবে চন্দ্রের পুত্র কার্তিক চন্দ্রের ১৬শতক ৪লাখ, ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের পুত্র সুভাস চন্দ্র সহ ৪ভাইয়ের ৩২শতক জমি ৬লাখ এবং সাব-রেজিস্টার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের শরীক মনি,সুভাস, শুভ, ভুজা, সন্টু, গয়ানাথ মেম্বার, রঞ্জিত মাস্টার, নিপুনের জমি ডাকনিরপাট গ্রামে এক পুত্র সন্তান, স্ত্রী ও নামে বেনামে ক্রয় করেছেন প্রায় ৩০থেকে ৪০বিঘা জমি এভাবে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ।


অভিযোগকারী ও স্থানীয়রা জানান, সাব-রেজিস্টার প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বিভিন্ন উপজেলায় চাকরীসহ বর্তমানে নাগেশ্বরী উপজেলা সাব-রেজিস্টার চাকরি করে কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। পৈতৃক সম্পত্তিতে গত দুবছর আগের নতুন বিল্ডিং বাড়ি ভেঙে গত এক বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করেছেন দু'তলা স্বর্ণমহল প্রসাদ একটি বাড়ি এবং নামে-বেনামে কিনেছেন কোটি টাকার সম্পদ।


আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সাব-রেজিস্টার প্রফুল্ল চন্দ্র রায় সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো। নিউজ করলে কিছু অর্থ খরচ হয় আর কি।


রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক শাওন মিয়া বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করেন তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।