lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-09-10T12:08:55Z
জাতীয়

মাদারীপুরে স্কুল-কলেজের পাশেই ময়লার ভাগার; ময়লার উৎকট দূর্গন্ধে ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীসহ পথচারী

Advertisement


 


মীর ইমরান -মাদারীপুরঃ

মাদারীপুরের শিবচর-জাজিরা আঞ্চলিক সড়কের চান্দেরচরে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। এসব ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দূর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন স্কুল - কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারী ও এলাকাবাসী। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশেই ময়লার স্তূপ। বিপরীত পাশে রয়েছে অজিফা কিন্ডারগার্টেন ,উমেদপুর অজিফা রফিকুল্লাহ লাইসিয়াম,উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়,৮ নং উমেদপুর সফরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ,নূরুল আমিন ডিগ্রী কলেজ ও মসজিদসহ জনবহুল ও শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত এলাকাটি। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। ময়লার ভাগারের কারণে ওই সমস্ত পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। 


স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন ওই এলাকায় চান্দেরচর বাজারসহ আশপাশের ময়লা এনে ফেলে চলেছে ময়লার স্তূপ। পাশেই ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫হাজার শিক্ষার্থী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আসা যাওয়ার সময় ময়লার উৎকট দূর্গন্ধ সয়ে চলাচল করতে হয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্নরকম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে হচ্ছে। ওই স্থান দিয়ে যাতায়াতের সময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের নাকে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয়। শুধু তাই নয় এলাকাবাসীদেরো রয়েছে অভিযোগ , প্রতিদিন রাতে চাঁন্দেরচর বাজারের মত পঁচা গন্ধ যুক্ত ময়লা আবর্জনা সব  শিবচর -শরিয়াতপুর জাজিরার আঞ্চলিক  সড়কের পাশে এ ময়লার স্তূপ সৃষ্টি করেছে স্থানীয় চাঁন্দের চর হাটের বাজার কমিটির লোকজন।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা জনবহুল এলাকায় এভাবে ময়লার ভাগার রাখা কোনভাবেই যুক্তিসংগত নয়,উমেদপুর অজিফা রবিউল্লাহ লাইসিয়ামের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- আমি যখন স্কুলে আসি তখন রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ থেকে প্রচুর দগ্ধ পাই। উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন -আমার বিদ্যালয় আট শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে রয়েছে, আমার এলাকায় পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে কমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত রয়েছে কিন্তু চাঁন্দের চর বাজারের যত ময়লা আবর্জনা আছে সব ময়লা আবর্জনা ফেলে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশ থেকে ময়লার স্তূপ সড়িয়ে নেওয়ার অনুরোধ করছি। উমেদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মনিরুজ্জামান বলেন আমার স্কুলের পাশে ময়লার স্তূপ তৈরি হচ্ছে কিছু দিন পর আরো বড় আকারে ধারণ হলে দুর্গন্ধে খুব খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে ময়লার বাগারটির কারণে আশপাশের লোকজনের  রোগ বেয়ে যাবে।

নূরুল আমিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান বলেন, এখানে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কোন ভাবেই ময়লার স্তূপ রাখা খুবই বেমানান,কোন মতেই রাস্তার পাশে এত গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কোন ভাবেই ময়লার স্তূপ রাখা উচিত নয় অতিদ্রুত এই ময়লার স্তূপ সড়িয়ে নেওয়া উচিত না হলে শিক্ষার্থীদের মানবদেহে প্রবেশ করবে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি।


এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফাতেমা মাহজাবিন বলেন, যেখানে সেখানে ময়লার স্তূপ পরিবেশ দূষণ করে। তার উপর জনবহুল এলাকায় এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেললে নানা ররোগবালাই হতে থাকে। বিশেষ করে শিশুদের শ্বাসকষ্টসহ পানি ও বায়ু বাহিত রোগবালাইয়ের ঝুঁকি আছে।


শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যেহেতু যত্রতত্র ময়লা ফেলরার কারণে স্থানীয় ও পথচারীদের সমস্যা হচ্ছে। আমরা খুব শীঘ্রই ওই স্থানটি থেকে ময়লার স্তূপ সরানোর ব্যবস্থা করবো। হাটবাজার ও আশপাশের মানুষের সুবিধার্থে একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে ময়লা ফেলানোর জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হবে।