lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-09-14T11:17:47Z
অর্থ আত্মসাতসংবাদ সম্মেলন

ঈশ্বরদীতে মাদ্রাসা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ;ভুক্তভোগীদের সাংবাদিক সম্মেলন

Advertisement


 


স্টাফ রিপোর্টারঃ 

পাবনার ঈশ্বরদীতে দারুল কুরআন নামের একটি মাদ্রাসার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংস্কার ফান্ডের ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী সমর্থক মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক,শিক্ষক ও স্থানীয়রা সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।


অভিযুক্ত মাহবুবুল আলম উপজেলার চরছলিমপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ঐ মাদ্রাসার সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।


জানা গেছে, ২০১৭ সালে চরছলিমপুর গ্রামের কদিমপাড়া এলাকায় কদিমপাড়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় মাহমুদ হোসেন শাহজাহান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা তিন বছর তিনিই পরিচালকের দায়িত্ব পালনের সময় ২০২০ সালে এক সাক্ষাতে পরিচয় হয় মাহবুবুল আলমের সঙ্গে। মাদ্রাসার বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতায় তিনি মাদ্রাসার উন্নয়নে তার ব্যাংক সহায়তায় একটি বিল্ডিংয়ের ভিত্তি নির্মানের কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন ছলাকলায় পরিচালকের নিকট থেকে মাদ্রাসা সংস্কারের ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমতাবস্থায় মাদ্রাসা পরিচালক মাহমুদ হাসান শাহজাহান দিশেহারা হয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো তাকে আওয়ামীলীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীর নাম ভাঙ্গিয়ে ও জঙ্গি বলে পুলিশে ধরায়ে দিবে বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। মাদ্রাসা কমিটির লোকজন থানায় এসে এ ব্যাপারে মামলা করার করতে চাইলেও থানায় মামলা নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মাদ্রাসা পরিচালক।


এদিকে স্থানীয় বিএম তোফায়েল আহমেদ নামে আরেকজনের কাছ থেকে জমি বিক্রয় বাবদ ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে বিভিন্ন হয়রানি ও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু এগুলোই নয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার ও নিজেকে ডাচবাংলা ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা দাবী করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এই মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা তার শাস্তির দাবী করেছেন।


কদিমপাড়া দারুল কুরআন মাদ্রাসার পরিচালক মাহমুদ হোসেন শাহজাহান বলেন, মাদ্রাসার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছ থেকে সাত লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন পর যোগাযোগ হলে তিনি টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। বর্তমানে মাদ্রাসার সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।


আরেক ভুক্তভোগী বিএম তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাহবুবুল আলম এমন অনেক মানুষের থেকে টাকা নিয়ে প্রতারনা করেছে। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীর নাম ভাঙ্গিয়ে সে তার এসকল অপকর্ম চালিয়ে গেছে। আমরা তার শাস্তির দাবী করছি।


তবে এসব অভিযোগের সত্যতা জানতে মুঠোফোনে অভিযুক্ত মাহবুব আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল চক্রান্ত করছে। রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে। মাদ্রাসা পরিচালক শাহজাহান ও তার ছেলে দলবল নিয়ে এসে টাকা আত্মসাতের কথা বলে আমার বাড়ি ভাংচুর ও আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমি এ ব্যাপারে কোর্টে মামলা করেছি।


ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা কমিটি ও ভুক্তভোগীরা যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। থানায় একাধিকবার এসে মামলা নেওয়া হয়নি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মামলা না নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। মামলার ব্যাপারে তাদের সঙ্গেও আমার কোন কথা হয়নি। তারা আসলে বিষয়টি বিস্তারিত শুনে তদন্ত করা হবে।