Advertisement
মীর ইমরান, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্বল্প পরিসরে পালিত হয়েছে।
শিবচর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বল্প পরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজন করে শিবচর উপজেলা বিএনপির ।নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে শিবচর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়,সকালে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।
শিবচর বিএনপির নেতা কর্মী ও অঙ্গ সংগঠনের সকলে ঐক্যবদ্ধ আছে বলেও জানান,শিবচর বিএনপির নেতা নূরউদ্দিন মোল্লা।
তিনি আরো বলেন আমরা শিবচর উপজেলা বিএনপির নেতারা দলের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো। দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
রবিবার দুপুরে শিবচরের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি নেতা নুরুদ্দিন মোল্লা এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা নুরুদ্দিন মোল্লা আরো বলেন, শিবচরে বিএনপির কোন ভেদাভেদ নেই। সকলে দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দলের স্বার্থে বিএনপি সকলে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে দলকে সুসংগঠিত করবে।
ছাত্র- জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের দুঃশ্বাসন থেকে রক্ষা পেয়েছি বাংলাদেশ । আমার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল স্বৈরাচার হাসিনা, শুধু তাই নয় আমার মা'কে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল কিন্তু আমার মা দেশনেত্রী বেগম জিয়া পালিয়ে যায়নি,কারণ সে বলেছে এই বাংলাদেশ আমার এদেশ থেকে আমি কোথাও যাবো না, কিন্তু সেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে,
এখন পালিয়ে গেছে পুরো ৩৬৫ জন এমপি মন্ত্রী নিয়ে শুধু তাই নয় এই সোনার বাংলাদেশটা লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ১৭ বছরে।এর বিচার আল্লাহ তায়ালা করেছে ,তাই আজ আমার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখে হাসি ফুটেছে। ছাত্র - জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশ সুন্দর করে সাজাতে হলে তারেক জিয়ার বিকল্প নেই। আমাদের নেতা তারেক জিয়ার নির্দেশ কোন দূর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজদের ঠাই বিএনপিতে হবে না।
নূরউদ্দিন মোল্লা আরো বলেন স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের অত্যাচার নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়ে আমি ও আমার বিএনপির নেতা কর্মীরা ঠিকমতো বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি সতেরো বছর। এই শিবচরটা এক নায়কতন্ত্র করে রেখেছিল লিটন চৌধুরী , তার যত গুন্ডা বাহিনী ছিল লতিফ মোল্লা,আওলাদ খাঁ, সেলিম ডাক্তার,তোতা খাসহ যারা ছিল তারা ছিল কুকুরের মত,লিটন চৌধুরী লেজ লারালে এরা লরা চরা করত। এরা একজনো শান্তিতে ছিলনা এই সতারো বছর। লিটন চৌধুরী, নিক্সন চৌধুরী মুনির চৌধুরী এই তিন শিবচর বাসিকে সুস্থ থাকতে দেয় নি। আজ এরা পালিয়েছে সাধারণ মানুষ আজ খোলা আকাশে উন্মুক্ত হয়ে চলেছে একটাই স্বাধীন বাংলাদেশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিবচর বিএনপির নেতা শাজাহান মোল্লা (সাজু মোল্লা), শাহাদাত হোসেন খান, আজমল হোসেন সেলিম খান,মজিবর রহমান শিশু, শহিদুল ইসলাম (শহিদ চেয়ারম্যান), জাকির গোমস্তা, মাহবুবুর রহমান মাদবর,মস্তফা মোল্লা,বিএনপি নেত্রী সুহাদা আক্তার, যুবদল নেতা বাকাউল করিম খান, শাহিন গোমস্তা, জামান বেপারী, জসিম উদ্দিন প্রমুখসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।