lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-09-14T08:09:04Z
জাতীয়

কচুয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া গেলেও ক্ষমতার দাপটে মেলেনি আইনগত ব্যাবস্থা।

Advertisement


 

বাগেরহাট প্রতিনিধি: 


কচুয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠলেও ক্ষমতার দাপটে মেলেনি কোন আইনগত ব্যাবস্থা।


গত ২০২২ সালের ৫ জুন কচুয়া সরকারি সি.এস.পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও দুর্ব্যবহার সহ নানা অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জীনাত মহল এর কাছে শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ করে,লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করেন আয় ব্যয়ের হিসাব নিজের মতো করে রাখা ও অর্থ আত্মসাৎ,সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি, একক ব্যক্তির নামে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা,বিদ্যালয় সরকারি করণের আগে অর্থের বিনিময়ে জনবল নিয়োগ দেওয়া,সহকারি শিক্ষকদের কাছ থেকে বিদ্যালয় সরকারি করার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া,বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হয় বিদ্যালয়ের সভাপতিকে বাদ দিয়ে।শিক্ষক কর্মচারীদের মারধর ও হিন্দু শিক্ষকদের বিভিন্ন সময় অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করা সহ প্রধান শিক্ষক ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত থেকে মাস শেষে এক বারে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার অভিযোগ করা হয়। 


এছারা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির নামে পরিচালনা হবার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক একক নামের হিসাব থেকে বিদ্যালয়ের আয় ব্যায় পরিচালনা করেন।একারনে আয় ব্যায়ের হিসাব কেউ জানেন না।বিদ্যালয় সরকারি করণের কথা বলে সহকারী শিক্ষকের নিকট থেকে জন প্রতি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে ২৩ জন সহকারী শিক্ষকদের নিকট থেকে ২৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেয়। 



এছারাও সরকারি করণের জন্য প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়,যার কোন ব্যাখ্যা নেই।প্রধান শিক্ষকের স্বামীকে স্কুলে ডেকে এনে শিক্ষকদের ঘুষি দেওয়ানো সহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। 



অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ২০২২ সালের ৫ জুন ৬নং ডকেটে  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ১০ জুনের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলেন।মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ১৫ জুন,উমাশিকা/কচুয়া/বাগের/২০২২/১০৫ নং স্বারকে - মতামত সহ সরকারি সি এস পাইলট মডেল - মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সরকারি বিধি মেনে পাঠদানের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতার স্বার্থে ৪ দফা পরামর্শ - পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারি শিক্ষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য ১৩ ও ১৪ ই  জুন ২৩ জন সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে তলব করে সাক্ষাৎকার গ্রহন করা হয়।১৫ জুন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মনিয়া সুলতানার সাক্ষাৎকার গ্রহন করে ওই দিনই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।তবে সহকারি শিক্ষকদের অভিযোগের ৯০% সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে ওঠে আসে।তবে রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে ৯০% সত্যতা পাওয়া গেলেও আইন গত কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি।


এদিকে তদন্তের প্রতিবেদনে ৯০% সত্যতা পাওয়া গেলেও ২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।এ বিষয়ে সুশিল সমাজের ব্যাক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর সত্যতা পাওয়ার পরেও কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি,এবিষয়ে সঠিকভাবে দেখভাল করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।