Advertisement
গাজী মোহাম্মদ হানিফ, সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি : আমি যেটা শুনলাম এবারের বন্যায় মুহুরী প্রজেক্টের গেট ভেঙে গেছে। ফলে এলাকাবাসীরা এমনিতেই আতঙ্কিত। এবারের মত আরেকবার বন্যা হলে এটি আর টিকবে না। ফলে তাদের দাবি হচ্ছে এইখানের যে গেটগুলো আছে এগুলো আগের মত সহনশীল আছে কিনা এবং যেগুলা ভেঙেছে সেগুলো মেরামত করা এবং ২১ কিলোমিটারের মতো একটা বাদ দেওয়া। এই তিনটা জিনিসই প্রক্রিয়াধীন আছে। মাত্র বন্যার পানি নামলো। এজন্য বন্যার পানি নামার পর আপনারা যখন কথা বলার পর্যায় আসছেন তখনই আমি এখানে এসেছি।
২২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুরে ফেনীর সোনাগাজীতে মুহুরী সেচ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান এইসব কথা বলেন।
এখানে আরেকটা কথা বারবার বলা হয়েছে, বালু উত্তোলন এবং মাছের ঘের নিয়ে। এখানে যেহেতু সীমানা নিয়ে একটা অস্পষ্টতা রয়েছে, মিরসরাইয়ের ওখানে অনেক উজানের পানিগুলো মাছের ঘের দিয়ে পানি প্রবাহ আটকে রাখে। এখানে ডিসি মহোদয় কে বলা হল ওইখানের ডিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলতে। নদীর মধ্যে মাছের ঘের করার কোন সুযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।
আরেকটা বলা হচ্ছে বালু উত্তোলন। আমি যেটা শুনলাম এটা ঘোষিত বালু মহল। কিন্তু ঘোষিত বালু মহল হলেও নিয়ম মেনে বালু তুলছে না। বালু মহলের লিজ মানি বড় ? নাকি জনগণের স্বার্থে এত হাজার কোটি টাকার নির্মিত স্থাপনা বড়? অবশ্যই জনগণের স্বার্থটাই বড়। এবং লিজ যদি হয়েও থাকে সামাজিক কি নীতিবাচক প্রভাব পড়ছে , পরিবেশগত কি প্রভাব পড়ছে, অর্থনৈতিক কি প্রভাব পড়ছে, সরকারের কোন স্থাপনা বালু উত্তোলনের কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়লে সেটা স্থগিত করার এবং পরবর্তীতে তা বাতিল করার সক্ষমতা ডিসি মহোদয়ের রয়েছে। আমরা অবশ্যই জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহিনা আক্তার, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার, (সোনাগাজী সার্কেল) তাসলিম হুসাইন সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান।
এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।