lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-09-13T08:09:12Z
আইন ও অপরাধ

আমতলীতে ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক নারীকে কুপিয়া যখম

Advertisement


 

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলীতে ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক নারীকে কোদাঁল ও দা দিয়ে মাথার ডান এবং বাম পাশে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নারীকে প্রথমে চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে পরে অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আজ ১২ই সেপ্টেম্বর আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


মামলার বিবরণী থেকে জানা যায় গতকাল ১১ই সেপ্টেম্বর উপজেলার পশ্চিম চুনাখালি গ্রামের শহিদুল প্যাদার পালিত ছাগল বিবাদীদের জমির ঘাস খেলে বিবাদীরা ছাগলটিকে মাটির মধ্যে পা দিয়ে চেপে ধরে মারতে থাকলে শহিদুল প্যাদার স্ত্রী নুরুন্নাহার (৪০) ছাগলটি উদ্ধার করতে গেলে তার সাথে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। পরে বিবাদী নাসির হাওলাদার তার হাতে থাকা কোদাঁল দিয়ে নুরুন্নাহারের মাথার ডান পাশে কোপ দেয় এবং তার ছেলে দুই নং বিবাদী মো: সাগরের হাতে থাকা দা দিয়ে নুর নাহার বেগমের মাথার বাম পাশে কোপ দেয়। পরে এরা সহ অন্য বিবাদীরা মিলে কোদাঁলের আছারি ও লাঠি দ্বারা নুরুন্নাহার বেগমকে কাঁদা পানিতে চেপে ধরে পেটাতে থাকলে নুরুন নাহারের ডাক চিৎকার শুনে মেয়ে লামিয়া মাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বেধড়ক পেটানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় নুরুনাহার বেগমকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা লুনা বিনতে হক আহত নুরুনাহার বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। 


এ ব্যাপারে আহত নুরুন্নাহার বেগমের স্বামী মোঃ শহিদুল প্যাদা বাদী হয়ে মোহাম্মদ নাসির হাওলাদার ও মোহাম্মদ সাগরসহ মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।


এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক লুনা বিনতে হক বলেন,নুরুন নাহারের মাথায় আঘাতের চোটে হাড় কাটে  তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 


আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘটনাটি শুনেছি কিন্তু এখনো অভিযোগ পাইনি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।